চার মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ তিন কর্মকর্তার জামিন
 
রাজধানীর গুলশান থানার পৃথক চার মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ তিন কর্তা। তারা হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান ও হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন।
আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) আসামিরা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহবুব আহমেদ পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ সময় আসামিরা বোরকা পড়ে এজলাসে আসেন।
ট্রান্সকম গ্রুপের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চারটি মামলা দায়েরের সময় ট্রান্সকম গ্রুপের তিন শীর্ষ কর্তা বিদেশে ছিলেন। তাঁরা কোনো ধরনের বাধা ছাড়া দেশে ফিরে আইনিভাবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন, সেজন্য উচ্চ আদালতে পৃথক রিট আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তাঁদের কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই দেশে ফেরা এবং ফেরার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক ট্রান্সকম গ্রুপের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার গুলশান থানায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনটি মামলা করেন। ওই মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তারা আদালত থেকে জামিন পান।
এছাড়া গত ২২ মার্চ শাযরেহ হক তার বড় বোন সিমিন রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, সিমিন রহমানসহ বাকি আসামিরা তার বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বিষ প্রয়োগ/শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। আরশাদ ওয়ালিউর রহমান গত বছরের ১৬ জুন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানের ছেলে যারেফ আয়াত হোসেন, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ম্যানেজার ডা. মুরাদ, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ডিরেক্টর (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ট্রান্সকম গ্রুপের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স (আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভুঁইয়া, গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন, গ্রুপের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স সেলিনা সুলতানা, ম্যানেজার করপোরেট অ্যাফেয়ার্স কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন ও গ্রুপের কর্মচারী রফিক ও মিরাজুল।

 
                   নিজস্ব প্রতিবেদক
                                                  নিজস্ব প্রতিবেদক
               
 
 
 
