চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের পাঁচটি উপজেলার অর্ধশত গ্রামে আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। আজ হাজীগঞ্জের সাদরা দরবার শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই ঈদ জামাতে ইমামতি করেন পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।
এ ছাড়া হাজীগঞ্জের সাদরা দরবার শরীফ সংলগ্ন সাদরা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় আরেকটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন সাদরা দরবারের পীর মাওলানা আরিফ বিল্লাহ চৌধুরী।
ঈদের নামাজ পড়তে আসা ৯৫ বয়সী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমি জন্মের পড় থেকে সাদরা দরবার শরীফে ঈদের নামাজ আদায় করছি। আমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখি, আবার চাঁদ দেখে ঈদের নামাজ আদায় করি। এভাবেই আদায় করা উচিত।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদগরা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, জাকনী, প্রতাপপুর, বাসারা; ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুরের মুসল্লিরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করবেন। এ ছাড়া মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি পাঁচানী, সাতানী, লতুরদী, মোহাম্মদপুর, মোহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামে এ রীতিতে ঈদ উদযাপন করে থাকেন মুসল্লিরা।
সাদরা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, ‘সারা বিশ্বে শুক্রবারের জুমার নামাজ একই দিন আদায় করা হয়। তাহলে ঈদের নামাজ কেন একসঙ্গে হবে না। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। হানাফী, মালেকি, হাম্বলি মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পৃথিবীর এক প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে সব প্রান্তে তার ওপর আমল করতে হয়।’
১৯২৮ সাল থেকে হাজীগঞ্জের পীরের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছেন।

শরীফুল ইসলাম, চাঁদপুর