নৌকায় ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা, আট বাংলাদেশির মরদেহ আজ আসছে
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মৃত্যুবরণ করে আট বাংলাদেশি। আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে তাদের মরদেহ দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মরদেহগুলো সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
এর আগে, গত ৩০ এপ্রিল লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এক দুর্ঘটনায় তিউনিসিয়া উপকূলে নিহত হয় আট বাংলাদেশি। দুর্ঘটনার পরপরই ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে মরদেহের সুরতহাল, শনাক্তকরণ, দেশি সংস্থার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করাসহ মৃত্যু এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু করেন।
পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা উইং মরদেহ ফিরিয়ে আনতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় করে। স্বরাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটানো হচ্ছে।
আট নিহতের মধ্যে সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা মাদারীপুর জেলার এবং রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
জুয়ারা উপকূল থেকে একটি নৌকায় করে ইউরোপে যাওয়ার পথে ৫২ জন যাত্রী নিয়ে তিউনিসিয়ার উপকূলে ডুবে যায় নৌকাটি। এ সময় ৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। যাদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি, পাকিস্তানের আট, সিরিয়ার পাঁচও মিসরের চার জন। অপরদিকে, নিহত ৯ জনের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি ও অপরজন পাকিস্তানের নাগরিক বলে শনাক্ত হয়েছেন।