পাহাড়ি ঢলে বন্যার শঙ্কায় সিলেট, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল
পাহাড়ি ঢলে সিলেট অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে হাওরে পানি প্রবেশের মাধ্যমে বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে, সময়মতো ফসল কেটে নেওয়ায় বোরো ফসলের বড় ক্ষতির ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, সিলেটের প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি কয়েকটি পয়েন্টে শুষ্ক মৌসুমের বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সিলেটে অতিবৃষ্টি না হলেও ভারতের মেঘালয় পাহাড়ে অব্যাহত বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢলে বৃদ্ধি পাচ্ছে নদ-নদীর পানি। সুরমা নদীর পানি শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সিলেটের কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া পিয়াইন, ধলাই ও সারি নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদীর পানির উচ্চতা বাড়ায় প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, শুক্রবার সকাল থেকে কমতে শুরু করেছে পানির উচ্চতা। এখনই বন্যার আশঙ্কা না থাকলেও উজানে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়তে পারে সিলেট। শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমলশীদ পয়েন্টের পানিও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। এদিকে, উজানের ঢলে ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে পানি উন্নয়র বোর্ড সিলেটের সাব ডিভিশনার ইঞ্জিনিয়ার সতেন্দ্র বৈদ্য জানান, যেহেতু উজানে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে তাই বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে, সিলেটে বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। উজানেও বৃষ্টি কমে এসেছে। সেজন্য পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নদীতে পানি বেশি থাকার কারণে আবার টানা ভারি বৃষ্টিপাত হলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে।