পঞ্চম দফায় পেছাল অরিত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিনাত আক্তারের বিরুদ্ধে রায় পঞ্চম দফায় পিছিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (৩ জুন) মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় মামলার রায় পেছানো হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মশিউর রহমান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নতুন রায়ের তারিখ পরবর্তীতে আদালত থেকে পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একই বছরের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষার সময় অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একইরকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে দিলীপ অধিকারী দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।
এ ঘটনায় পরদিন ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা করেন।