চট্টগ্রামে থানায় হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলা, আসামি ৪০ হাজার
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাত অন্তত ৪০ হাজার মানুষকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়েদুল হক বলেন, গত ৫ আগস্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে থানায় আক্রমণ করে জনতা। হামলার সময় থানার আসবাবপত্র লুট, যানবাহন ভাঙচুর, থানায় অগ্নিসংযোগ ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় দুর্বৃত্ত ও অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের বিবিধ ধারায় বিস্ফোরক আইনের ১৯০৮ এর ৩/৬ ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সনের ১৫(৩)/২৫-ডি ধারায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মিছিল শেষে হাজার হাজার লোক জড়ো হয় কোতোয়ালি থানার সামনে। এ সময় দুর্বৃত্তরা থানায় হামলা চালায়। পুলিশ সদস্যরা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে চাইলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এ সময় দুর্বৃত্তরা থানার গেট ভেঙে প্রবেশ করে বিভিন্ন আসবাবপত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও থানার বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এছাড়াও একই দিন সিএমপির ১৬টি থানার মধ্যে ৮টি থানায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং আগুন দেওয়া হয়। এ সব ঘটনায় পুলিশের থানা ভবনের পাশাপাশি অন্তত ৪৫টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন থানা থেকে অন্তত ৫০০ অস্ত্র এবং ১২ হাজারেরও বেশি গুলি লুট করা হয়। অস্ত্র, গুলি যাবাহন ছাড়াও থানা ভবনের অবকাঠামো পুড়ে অন্তত ২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।