রাজধানীর আদাবর থানাধীন তুরাগ হাউজিংয়ের একটি গ্যারেজে জমে থাকা গ্যাসে অসুস্থ হয়ে কবির হোসেন (৪৪) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার (১০ জুন) দিনগত রাতে গ্যারেজটির গ্যাসে আরও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া।

বাচ্চু মিয়া বলেন, অসুস্থ অবস্থায় কবিরকে সকাল ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কবিরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার চাচাতো ভাই রুহুল আমিন গণমাধ্যমকে জানান, কবিরের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামে। সেখানে তিনি কৃষি কাজ করতেন। আর রুহুল আমিন চাকরি করেন তুরাগ হাউজিংয়ের বেড়িবাঁধ এলাকার একটি কোম্পানিতে।

রুহুল আমিন জানান, গত দুই থেকে তিন দিন আগে কবির গ্রাম থেকে বেড়াতে রুহুলের কাছে আসেন। এরপর ওই কোম্পানির গ্যারেজে রুহুল আমিনের সঙ্গে ছিলেন কবির। রুমে তারা বেশ কয়েকজন থাকেন। তবে রুহুল আমিন গত রাতে ডিউটিতে ছিলেন। কবিরসহ রুমটিতে ঘুমিয়ে ছিলেন ১০ থেকে ১২ জন। রাতে সেই রুমে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়। রাত আড়াইটার দিকে রুমে ঘুমিয়ে থাকা সবাই শ্বাসকষ্ট ও চোখ জ্বালাপোড়া অনুভব করতে থাকেন। পরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই তাদের চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে সেখানে কবিরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সকালে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অসুস্থ সাত থেকে আট জন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘কবিরের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, সেটি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।’