এক মঞ্চে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা
উৎসবমুখর পরিবেশে সাভারে এক ছাদের নিচে এলেন নানা শ্রেণি-পেশার আলোকিত ব্যক্তিরা। গান, নাচ ও আবৃত্তির মধ্য দিয়ে ভিন্নভাবে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলেন সবাই। সিটিজেন ক্লাবের এ পুনর্মিলনীতে একই মঞ্চে দেখা গেছে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের। রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে দিলেন ঐক্য ও সংহতির বার্তা।
সাভারে পেশাজীবীদের শীর্ষ সংগঠন ‘সিটিজেন ক্লাব লিমিটেড’ আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ঘিরে গতকাল শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে এমন দৃশ্য দেখা যায় সাভারের এম কে টাওয়ার কনভেনশন সেন্টারে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার সিটিজেন ক্লাব লিমিটেডের বিশেষ উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ।
ক্লাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মো. এনামুর রহমান, সাভার পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল গনি, সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি বিএনপিনেতা বদিউজ্জামান বদির, সাভার পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুর রহমান, ডারফিন আক্তার, আওয়ামী লীগনেতা মঞ্জু দেওয়ান, হরিরামপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন, ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি রিফাত উল্লাহ ও সাভার বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান কল্লোল।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স ক্লাবের লেডি গভর্নর ডা. দিলকুশা, ডা. ফরিদা হক, সাভার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ আচার্য, এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান, বাংলাভিশনের সাভার প্রতিনিধি নজমুল হুদা শাহীন, নিউজ গার্ডেন সম্পাদক ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ বলেন, ‘সমাজ এখন নানাভাবে বিভক্ত। নানা পথ ও মতের মানুষকে একত্র করার কৃতিত্ব সাভার সিটিজেন ক্লাবের।’ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা গড়তে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ক্লাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে সাভার সিটিজেন ক্লাব হয়ে উঠেছে আলোকিত মানুষদের অনন্য এক প্লাটফর্ম। প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের নেতারা রাজনীতির বিরোধ ভুলে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও নিজেরা এক ছাদের নিচে মিলিত হন। দেশ ও সমাজের উন্নয়নে বিভাজিত সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়ান।’