জবির কোটা সংস্কারপন্থিদের সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধের ঘটনায় উত্তপ্ত রায় সাহেব বাজার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। একইসঙ্গে ওই এলাকায় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। শোনা গেছে ককটেল বিষ্ফোরণের শব্দ। চলেছে গুলি। এতে আতঙ্কে আছেন এলাকাবাসী। আইনজীবী, বিচারক ও বিচারপ্রার্থীরাও ঢাকা মহানগর ও দায়রা জজ আদালত থেকে বের হতে পারছেন না। যদিও ওই এলাকায় পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেন। তখনই বাধে সংঘর্ষ। মুহূর্তে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। শুরু হয় ভাঙচুর। তবে, কারা এই ভাঙচুর চালিয়েছে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন, ছাত্রলীগের কর্মীরাই কোটা সংস্কারপন্থিদের বাধা দেওয়া, মারধরের পাশাপাশি এই ভাঙচুর চালিয়েছেন। আবার অনেকের দাবি, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর করেছেন।
পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চার শিক্ষার্থী আহতের তথ্য মিলেছে। প্রত্যক্ষদর্শী আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এ গুলি বর্ষণ করেছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফেরদৌস, ১৭ ব্যাচের অন্তু, ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী অনিকসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি জোনের এএসপি নজরুল গণমাধ্যমে বলেন, গুলির খবর শুনেছি। তবে আমরা এক গ্রুপকে মিছিল করতে দেখেছি। অন্য গ্রুপ দেখিনি।