গুজব প্রচারকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের
ফেইসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রচারকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। তারা বলেন, ‘একটি গুজব হাজারও এটম বোমার চেয়ে ভয়ানক। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং মানবতা ও জাতিসত্তার হুমকি মোকাবিলায় গুজব প্রচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
দেশব্যাপী চলমান সহিংসতায় করণীয় ও জাতীয় শোক দিবস পালনের কর্মসূচি নির্ধারণের লক্ষ্যে আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ আয়োজিত এক জরুরি সভায় এসব দাবি জানানো হয়। রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ (আইডিইবি)-তে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীনের পরিচালনায় এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, শহীদ সংসদ সদস্য নুরুল হক হাওলাদারের মেয়ে জোবায়দা হক অজন্তা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশীদ রনি, আল-আমিন মৃদুল, সৈয়দ দিদারুল ইসলাম, শ্রম ও কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান মোল্লা, কেন্দ্রীয় সদস্য মনিরুজ্জামান খোকন প্রমুখ।
নেতারা বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের চলমান তথাকথিত আন্দোলনে গুজব ছড়িয়ে ব্যাপক নাশকতা, ধ্বংসযজ্ঞ এবং তরুণ প্রজন্মকে দেশের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করার প্রচেষ্টা চলছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে না, আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেই স্বাধীনতার চেতনা, মর্যাদা ও মূল্যবোধ রক্ষা করা আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। গুজব এবং মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং তরুণদের বিপথে পরিচালিত করা অমানবিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত অপরাধ। এই ধরনের কর্মকা- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মূল্যবোধের বিরুদ্ধে।