হাত-চোখ বেঁধে টুপি পরিয়ে আয়নাঘর থেকে বের করা হয় মাইকেলকে
মাইকেল চাকমা। প্রায় পাঁচ বছর চার মাস বন্দি ছিলেন আয়নাঘরে। নিজেও বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, যেকোনো সময় তাঁকে হত্যা করা হবে। কিন্তু, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের রাতেই তাঁকে আয়নাঘর থেকে বের করা হয়। তাঁর হাত-চোখ বেঁধে গাড়িতে নিয়ে ফেলে আসা হয় খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় এক জঙ্গলের মধ্যে।
আয়নাঘর থেকে রামগড়। রামগড়ে গিয়ে টাকা ভিক্ষা চেয়েও পাননি মাইকেল চাকমা। সেখান থেকে বিনাভাড়ায় বাসে চড়ে চট্টগ্রাম। তারপর জন্মস্থান রাঙামাটির মাটি ছুঁয়ে দেখা। এই পুরো পথে নানা ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন মাইকেল চাকমা। গত শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে এনটিভি কার্যালয়ে এসে সেসব পরিস্থিতির বর্ণনা করেন।
২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল মাইকেল চাকমা রাজধানীর কল্যাণপুর বাসস্টান্ড থেকে গুমের শিকার হন। দীর্ঘদিন পর তিনি চলতি বছরের ৬ আগস্টের প্রথম প্রহরে মুক্তি পান আয়নাঘর থেকে।
মাইকেল চাকমা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “গুহায় বা কবরে থাকলে মানুষ যেভাবে কিছুই দেখে না, ঠিক এরকম; আমিও কিছুই দেখতাম না। এক অন্ধকার জগতে ছিলাম আমি। পুরো সময়টাতে আমার ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হয়েছে। এভাবে চলতে চলতে ৫ আগস্ট দিনগত রাতে আমাকে আয়নাঘর থেকে বের হরা হয়।”
মাইকেল চাকমা বলেন, “পাঁচ আগস্ট দিনগত রাত তিনটার দিকে আমাকে ঘুম থেকে জাগানো হয়। এরপর আমি হাত-মুখ ধুয়ে বসলাম। এক লোক এলো হ্যান্ডকাপ, টুপি আর দুটো কাপড় নিয়ে। তিনি আমাকে বললেন, তোমার চোখ বেঁধে দেব? টুপি পরিয়ে দেব? তুমি কিছু মনে করো না। আমি বললাম, এটা আপনার ডিউটি। এটাতো আপনারা প্রায় সময় করেন। এখনও করেন। আমি ভাবলাম, আমাকে শিফট করে আগের জায়গায় (আয়নাঘরে) নেওয়া হবে। আমাকে তিন মাস আগে এখানে আনা হয়েছে। আমাকে বলেনি যে, তারা আমাকে ছেড়ে দেবে।”
“এরপর আমার চোখ ও হাত বেঁধে গাড়িতে তোলা হয়। এভাবে টানা তিন ঘণ্টা গাড়ি চলতে থাকে। এর আগে মাঝেমধ্যে ওরা আমাকে গাড়িতে তুলতো, যখন স্থান পরিবর্তন করিয়ে আমাকে অন্য স্থানে রাখা হয়। তবে, সেটা ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই স্থান পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্তু, এবার আমাকে দীর্ঘ সময় গাড়িতে রাখা হয় এবং গাড়ি চলতেই থাকে। তখন আমার মনে হচ্ছিল, আমাকে অনেক দূর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু, ওরা আমাকে বলেনি, আমাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।”
“আমার চোখ বাঁধা থাকলেও কাপড় একটু লুজ ছিল। আমি দেখার চেষ্টা করছিলাম আমাকে কে বা কারা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। আমার দু-পাশে দুজন লোক রাখা ছিল, পেছনে একজন। সামনে চালক ছিল। আমার পাশের জন মাঝেমধ্যে আমার মাথা ধরে নিচু করে দিত, লুকিয়ে রাখতো। যেন আমাকে বাইরের কেউ দেখতে না পারে। গাড়ি চলছে, একটা সময় ফজরের আজানের শব্দ শুনলাম। অনেক স্পিডে গাড়ি চলছিল।”
“কাপড়ের ফাঁক দিয়ে একটু আলো দেখতে পাই। তখন বুঝতে পারি, আমাকে বড় কোনো হাইওয়ে তোলা হয়েছে। এভাবে যেতে যেতে দেখলাম একটি সবুজ রঙের পিকআপ। পেছনে খোলা। ওই গাড়িতে যারা ছিল, তাদের আর্মির মতো লাগে। তখন আমি চিন্তা করলাম, আর্মি কেন? আমাকে কী শেষ পর্যন্ত আর্মির হাতে তুলে দেওয়া হবে? আমার দুশ্চিন্তা বাড়তে লাগল। আমাকে আর্মিরা মেরে ফেরতে পারে। অস্ত্র উদ্ধারসহ নানারকম নাটক সাজাতে পারে। এভাবে গাড়ি চলছে, একটা সময় বুঝলাম যে সামনে আর্মির গাড়ি। তখন ভাবলাম, আমাকে কোথাও নিয়ে যাচ্ছে হয়তো প্রটেকশন দেওয়ার জন্য তারা আছে। এভাবে চার ঘণ্টার মতো গাড়ি চললো। তারপর তারা আমাকে বাঁ দিকে নিয়ে গেল। কিছুদূর গিয়ে গাড়ি থামল।”
“গাড়ি থামার পর অন্য একটি পার্টি এলো। তারপর ওই পার্টির গাড়িতে তোলা হলো। আমার টুপি খোলা হলো। হ্যান্ডক্যাপ খোলা হলো। তাদের কাছে একটি কালো গামছা ছিল। সেটা ছিঁড়ে দুই টুকরো করা হলো। ওই দু-টুকরোর এক টুকরো দিয়ে হাত বাঁধা হলো। অন্য টুকরো দিয়ে চোখ বাঁধা হলো। তখনও তারা আমাকে ছাড়ার কথা বলেনি। তখন পাশে বসা লোকটা আমাকে বলে, তুমি চিৎকার করবে না। ডাকাডাকি করবে না। করলে তোমাকে গুলি করব। তখন আমার ভয় লাগছিল। আমি তখন তাদের বললাম, ভাই, পাঁচটা বছর গেছে আমার অন্ধকার ঘরে। সব সময় আমি শান্ত অবস্থায় ছিলাম। আজকে হঠাৎ কেন আমি চিৎকার করব, ডাকাডাকি করব। আমি এসব করব না।”
“তখন পাশের আরেকজন বললেন, তোমার বাড়ির ফোন নম্বর জানা আছে? আমি বললাম, জানা নেই। সামনে যিনি বসে ছিলেন, কণ্ঠ শুনে মনে হলো, তার বয়সটা একটু বেশি। বোধহয় ৫০ এর বেশি হবে। আমার বাসার কারও ফোন নম্বর রয়েছে কিনা, সেটার কথা বলাতে তখন ওই বয়স্ক লোক বলেন, এই চুপ কর। তখন উনি আমার কাছে জানতে চাইলেন, আমার নাম কি? আমি বললাম, মাইকেল চাকমা। তখন আমি বললাম, আমার খুব ক্ষুধা লাগছে। তখন তিনি আবার বললেন, অসুবিধা নেই, কিছুক্ষণ পরেই আমরা আপনাকে ছেড়ে দেব। বাড়িতে গিয়ে দুপুরের খাবার খাবেন।”
“কিন্তু, আমি তো বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমার কাছে একেবারে মিরাকলের মতো, ননসেন্সের মতো মনে হচ্ছিল। তখন আমি ভাবছিলাম, আর কত মিথ্যা কথা বলবে তারা? ওরা সব সময় মিথ্যার ওপর থাকে। লালকে বলে সাদা। পাঁচ বছরে কখনো সত্য কিছু শুনিনি আমি। এক পর্যায়ে আমাকে বলল, তোমাকে একটি জায়গায় রাখব, সেখান থেকে ৩০ মিনিট পর তুমি চলে যাবে। এর মধ্যে যদি তুমি চলে যাওয়ার চেষ্টা করো, তাহলে তোমাকে গুলি করা হবে। আমি বললাম, ঠিক আছে। আমি তখন ভাবছিলাম, আমাকে কোথাও নিয়ে হয়তো গুলি করে মেরে ফেলা হবে।”
“এভাবে পাঁচ-দশ মিনিট যাওয়ার পর ওরা গাড়ি থামাল। দরজা জোরে খুলে আমাকে নামানো হলো। এরপর জোরে হেঁটে নিয়ে গিয়ে আমাকে একটি জঙ্গলের মধ্যে ঢুকানো হলো। উঁচু-নিচু জায়গা। আরও কিছুদূর হাঁটিয়ে আমাকে একটি স্থানে বসানো হলো। তারপর বলা হলো, শুয়ে পড়। আমি শুয়ে পড়লাম। তখন আমাকে বলা হয়, তুমি এখান থেকে আধা ঘণ্টার আগে উঠবা না। যদি ওঠো, তোমাকে গুলি করে মেরে ফেলা হবে। আধা ঘণ্টা পরে তুমি কাপড় আর হাতের গামছা খুলে চলে যাবে। আমি তখনও ভাবছি, যেই উঠবো সেই হয়তো আমাকে মেরে ফেলবে। আমি যে মুক্তি পাব, তা কোনোভাবেই চিন্তা করতে পারিনি।”
“তখন ওরা আমার কাছে জানতে চাইল, হাত খুলতে পারবা? আমি বললাম, পারব না। তখন ওরা আমাকে হাতের গামছা খোলার সিস্টেম বলে দিল। এ ঘটনা রাস্তার প্রায় পাশেই। মাঝেমধ্যে গাড়ির শব্দ শোনা যায়। পাখির কিচিরমিচির অনেক। তক্ষকের শব্দসহ নানান রকম শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। ভয় লাগছিল আমার। ভাবছিলাম, এ কোথায় নেওয়া হলো আমাকে। এভাবে আনুমানিক আধা ঘণ্টা পর আমি উঠে বসলাম। বুঝলাম, কেউ আমাকে গুলি করছে না। তারপর চার-পাঁচ মিনিট চেষ্টা করার পর হাত বাঁধা কাপড়টা খুলতে পারলাম। এরপর চোখের কাপড়টা খুললাম। দেখলাম, একটা সেগুনবাগান। ছোট ছোট গাছ, ১২ থেকে ১৩ বছর বয়স হবে বাগানটার। কোথায় আমি রয়েছি, বুঝতে পারছিলাম না। মাথায় কিছুই কাজ করছিল না আমার।”
“এরপর আমি চারদিকে তাকিয়ে দেখি, কেউ নেই। সেখান থেকে রাস্তায় উঠলাম। কিন্তু, বুঝতে পারছিলাম না এটা কোন রাস্তা। আমার কাছে সবকিছু অন্যরকম লাগছিল। ভাবলাম, রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তাদের কাছে জানতে চাইব, এটা কোন জায়গা। আমার পরনে লুঙ্গি আর সাধারণ টি-শার্ট। আমি গাড়ি থামতে হাত তুলি, কিন্তু কোনো গাড়ি থামে না। আমার কাছে টাকা পয়সা কিছুই নেই। ক্ষুধা লাগছে। রাতে ঘুম হয়নি। মাথাও ঘুরছে। কিছুদূরে একটি সাইনবোর্ড দেখলাম। লেখা হরের হাট। হরের হাট আমাদের চট্টগ্রাম এলাকার কাছাকাছি এলাকা। তখনও বুঝতে পারছি না, কোন রাস্তা দিয়ে যাব। আমার তখন শীত লাগছিল। কিছুদূর হেঁটে একটি সাইনবোর্ড দেখলাম। সেখানে লেখা দেখে জানলাম, এটা রামগড় উপজেলার দিকে, খাগড়াছড়ির রাস্তা।”
“প্রায় ৩০ মিনিট হয়ে গেল। কোনো গাড়ি থামে না আমার ডাকে। আনুমানিক সকাল ৮টা বেজে গেছে। আমার কাছে এক পয়সাও নেই। অনেককে বললাম, আমাকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যেতে। কিন্তু কেউ আমাকে নেয় না। এক পর্যায়ে একটা মোটরসাইকেল এলো, চালককে থামালাম। তাকে বললাম, আমাকে কাইন্ডলি মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারবেন? আমার কাছে কোনো টাকা নেই। আমি বড় বিপদগ্রস্ত মানুষ। অনেক বিপদে পড়ে আছি। তারপর উনি আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলেন। এর আগে অনেক গাড়ি আমাকে নেয়নি। থামেওনি। সম্ভবত আমাকে দেখে তাদের অন্যকিছু মনে হচ্ছিল। আমি তখনও জানি না, দেশটা স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা রেজিমের পতন হয়েছে। ওরা আমাকে কেউ বলেনি, সরকারের পতন হয়েছে।”
মাইকেল চাকমা আরও বলেন, “এক সময় মোটরসাইকেলচালক আমার কাছে জানতে চাইল, আমি কী করি। বললাম ব্যবসা করি। তারপর বললেন, কোথায় যাবেন? বললাম, চট্টগ্রাম। উনি জানতে চাইলেন, লুঙ্গি পরে যাবেন? একের পর এক প্রশ্ন করতেছেন উনি। আমি কথা বেশি বাড়াতেও পারছি না। কারণ, উনি আমার খবর জেনে গেলে ভয় পাবেন। তারপর উনি আমাকে গাড়িতে উঠতে বললেন। আমি উঠলাম। এভাবে প্রায় ৩০ মিনিট পর বারইয়ারহাট পৌঁছালাম। পৌঁছানোর মতো হলে তখন আমি উনাকে আংশিক ঘটনা খুলে বলি। তখন আমাকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালাম। বললাম, আমি কখনো আপনার এ উপকার ভুলবো না। তখন আমি তার কাছে জানতে চাইলাম, আপনার ফোনটা কী আমি ব্যবহার করতে পারি? উনি বললেন, করতে পারেন। আমি বাড়ির নম্বর বললাম, কিন্তু এক ডিজিট ভুল হওয়াতে আমি আর বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলাম না। এরপর লোকটি আমাকে রেখে ফেনীর দিকে চলে গেল। আমি তখনও বুঝতে পারিনি, সরকার পরিবর্তন হয়ে গেছে।”
“কিন্তু, আমার কাছে অবাক লাগছিল, রাস্তায় গাড়ি এতো কম কেন? বারইয়ারহাটের একটি বড় ফার্মেসির দোকানে গেলাম। গিয়ে ভিক্ষা চাইলাম। আমাকে অন্তত ১০০ টাকা দিলে আমি খুব উপকার হবে। আমি খুব কষ্টে আছি। কিন্তু, তিনি কর্মচারীর অজুহাত দেখিয়ে আমাকে টাকা দেননি। আরও দু-এক জায়গায় ভিক্ষার মতো করে টাকা চাইলাম। কিন্তু কেউ আমাকে দেননি। এ এক বড় বিপদে পড়লাম। আমার কাছে টাকা নেই। কে নিয়ে যাবে আমাকে চট্টগ্রামে? আমার এলাকার কোনো লোককেও পাচ্ছি না।”
“একটি লোকাল বাস পেলাম। যেটি চট্টগ্রামে যাবে। পরে চালকের সঙ্গে কথা বললাম। বেশভূষা দেখে মনে হলো, তিনি বেশ ভদ্র ও শিক্ষিত লোক। তাকে বললাম, আমার কাছে কোনো টাকা নেই। আমি খুব বিপদে পড়েছি। আমাকে কী চট্টগ্রাম নিয়ে যাবেন? আমি টাকা দিতে পারব না। তিনি আমাকে গাড়িতে বসতে বললেন। বসলাম। কিছুক্ষণ পর চালকের সহকারী আমাকে বললেন, এখনি নেমে যান। টাকা ছাড়া নেওয়া যাবে না। আমি একেবারে অসহায় হয়ে পড়লাম। এরপর চালককে আবার বললাম, ভাই আপনার পায়ে পড়ি। আমাকে নিয়ে যান।”
“এ দৃশ্য দেখলেন আমার পাশের সিটে বসা এক মেয়ে। তিনি আমাকে একশো টাকা দিতে চাইলেন। আমার মনে হলো, উনি আমার ভগবানের মতো। টাকাটা আমি নিলাম। কিন্তু, চালক আর টাকা নিতে চায় না। পরে আমি টাকাটা ওই নারীকে ফেরত দিতে যাচ্ছিলাম। তিনি না নিয়ে বললেন, টাকাটা রাখেন। আপনার কাজে লাগবে। তখন আমার মাথায় এলো, তাই তো; ওখান থেকে নেমে যে আমার আরও টাকা লাগবে। পরে আমি টাকাটা কাছে রেখে দিলাম। তখন মনে হচ্ছিল, এই একশো টাকা আমার কাছে একদম জীবনের মতো। পরে বাস থেকে নেমে আরেকটি পরিবহণে রাঙামাটি গেলাম। ভাড়া ১৫০ টাকা। কিন্তু, আমার কাছে রয়েছে ১০০ টাকা। পরে, বাস থেকে নেমে এক বন্ধুর বাসায় দৌড়ে গেলাম। ড্রাইভারকে বললাম, একটু দাঁড়ান ৫০ টাকা এনে দিচ্ছি। বন্ধুর বাসায় গিয়ে দেখলাম, বন্ধুর স্ত্রী রয়েছেন কেবল। তখন তারা আমাকে চিনতে পারেন। সে সময় ৫০ টাকা নিয়ে দ্রুত ড্রাইভারকে দিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, একটি পত্রিকায় হেডলাইনে লেখা, ‘নতুন সরকারের অপেক্ষায় দেশ’। তারপর জানলাম, হাসিনার পতন হয়েছে। এরপর সেখানে শান্তিমতো খাওয়া-দাওয়া করে তারপর বাসায় যাই।”