রাজধানীতে তিন পুলিশকে মারধর, পুলিশবক্স ভাঙচুর
রাজধানীর ওয়ারীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় তিন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে শ্যামপুর থানা পুলিশ গিয়ে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার বিকেলে ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখারুল আলম এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানান।
এদিকে শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল আলমের দাবি, রাস্তার উল্টো দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহীকে আটকে কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পরে তাকে উদ্ধারে আসা আরও দুই পুলিশ সদস্যকেও মারধর করা হয়।’
মফিজুল আলম বলেন, ‘মারধরের শিকার পুলিশের মধ্যে আহত সার্জেন্ট আলী হোসেনের হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
মফিজুল আলম জানান, এ ছাড়া আহত অন্য দুই পুলিশ সদস্য হলেন ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক উৎপল চন্দ্র।
শাহ ইফতেখারুল আলম বলেন, ‘মোটরসাইকেলে এক নারীসহ দুজন আরোহী ছিলেন। কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন কাগজপত্র দেখতে চাইলে মোটরসাইকেল চালক দুর্ব্যবহার শুরু করেন এবং পোশাক পরা অবস্থায় অন ডিউটিতে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্টের পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরে দুজনকে পুলিশ বক্সে নেওয়া হলে সঙ্গে থাকা নারী উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। পুলিশকে মারধর করেন। পুলিশবক্স ভাঙচুর করেন।’
শ্যামপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক এবং ওই নারী যাত্রীসহ তিনজনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। আটকরা হলেন মোটরসাইকেল চালক বার্তা বিচিত্রা নামক পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া মো. রনি, তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশাত ভুইয়া ও শ্যালক ইয়াসির আরাফাত ভুইয়া। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মফিজুল আলম বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেল আরোহী রনি তার পরিচিত লোকজনকে ডাকেন। ঘটনাস্থলেই পাশেই তার বাসা। লোকজন এসে তখন নারী লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলে সার্জেন্টকে মারধর করে এবং পুলিশ বক্সে ভাঙচুর করে। সে সময় মোটরসাইকেল চালক সার্জেন্টের বুকের উপর পা তুলে চেপে বসে। এ সময় ঘটনাস্থলে আসা উৎসুক জনতার মধ্য থেকে একজন সার্জেন্টের হাতে ছুরিকাঘাত করে।