ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাই বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেহেতু একটি গণবিপ্লবের মধ্য দিয়ে জনগণের অভিপ্রায়ে গঠিত হয়েছে তাই এ সরকারকে সব গণহত্যা, গুম,খুন ও অন্যায়ের বিচার করতে হবে। 

আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় শরীয়তপুর পৌরসভা মাঠে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  সিনিয়র নায়েবে আমির এ কথা বলেন।  

 এ সময়  সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, বর্তমান সরকারের পক্ষে যেহেতু রাজনৈতিক ঐকমত্য রয়েছে তাই দেশকে এবং দেশের রাজনীতিকে সঠিক জায়গায় নিয়ে আসার ব্যাপক সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে অন্তরবর্তীকালীন সরকার যদি প্রাপ্ত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ না নেয় তাহলে হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তদান ব্যর্থ হবে। 

সমাবেশে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা এবং সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম। 

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম আল আমিন, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মানিক মিয়া সরদার, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট হানিফ মিয়া, জাতীয়  শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আহসান হাবিব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশ শরীয়তপুর জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ হাফেজ মাওলানা শওকত আলী। 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশ শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমীর সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মুফতি সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি জেলা শাখার ছদর হাফেজ মোঃ কেরামত আলী, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের জেলা সভাপতি মুফতি ফেরদাউস আহমদ,  বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ড জেলা সভাপতি এইচ এম লোকমান বিন সালেহ,, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আয়াত আলী, শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি মাওলানা আলী আজগর, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি মাস্টার দেলোয়ার হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি ছাত্রনেতা মো. রাসেলসহ জেলা ও উপজেলার নেতরা।