কুমিল্লায় বন্যায় ৬৯৭৫ কিলোমিটার বিদ্যুতের মালমাল ক্ষতির শঙ্কা
বন্যায় কুমিল্লায় বিদ্যুৎ বিভাগের প্রায় ছয় হাজার ৯৭৫ কিলোমিটার বিদ্যুতের বিভিন্ন মালমাল ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। তবে, বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে গেলে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ সঠিক ভাবে জানা যাবে। বন্যা কবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু বাড়িঘর ছাড়া বিদ্যুতের লাইন সচল আছে বলে জানায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর মধ্যে কুমিল্লা-২-এ এক লাখ ৩২ হাজার ৮০ জন, কুমিল্লা-৪-এ ২০ হাজার জন গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসেবে জানানো হয়, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ট্রান্সফরমার, স্প্যান ছিড়া, ইন্সুলেটর, বিদ্যুতের মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার হরিপুর এলাকার বাসিন্দা রবিউল আলম জানান, বাড়িতে পানি থাকায় বিদ্যুতের লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো। এখন পানি কমেছে, আমরা বাড়িতে উঠব তাই বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বলেছি।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সভাপতি সৈয়দ আহম্মেদ লাভলু জানান, এ সমিতির অধীনে বন্যা কবলিত সকল উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। পানিবন্ধী এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। আমরাও পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বন্যার কারণে এ পর্যন্ত আমাদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক কোটি টাকা। তবে, বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে গেলে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ সঠিক ভাবে নিরুপণ কার যাবে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কয়েক লাখ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে, খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ক্রস আর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বৈদ্যুতিক মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, বন্যার সময় আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক লাখ লোক মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। মানুষ বিদ্যুতায়িত হয়ে যেন দুর্ঘটনার মধ্যে না পড়ে, যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছিল। বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।