পশুর নদ বাঁচাতে মোংলায় নৌশোভাযাত্রা ও মানববন্ধন
কয়লা দূষণ বন্ধ করে সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদ বাঁচানোর দাবিতে মোংলায় নৌশোভাযাত্রা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জলবায়ু ন্যায্যতার জন্য বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে মোংলার পশুর নদে এই নৌশোভাযাত্রা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এশিয়া ডে অব অ্যাকশন কর্মসূচি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এ নৌশোভাযাত্রা ও মানববন্ধনের আয়োজন করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার।
পশুর নদে নৌ র্যালি ও পাড়ে মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার নেতা মো. নূর আলম শেখ।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরার (ধরা) নেতা গীতিকার মোল্যা আল মামুন, আব্দুর রশিদ হাওলাদার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার নাজমুল হক, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশর কমলা সরকার, হাছিব সরদার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার চন্দ্রিকা মণ্ডল, মারুফ বিল্লাহ, রাসেল শেখ ও মেহেদী হাসান বাবু।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নোংরা কয়লার ব্যবহার বন্ধ করে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে হবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে এশিয়া থেকে কয়লাভিত্তিক জ্বালানি প্রকল্প তুলে দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কয়লার পরিসমাপ্তি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তিতে রূপান্তর এখন সময়ের দাবি।
বক্তারা আরও বলেন, কয়লার নির্ভরশীল বৃহত্তম বাজার হচ্ছে এশিয়া। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কয়লার পরিসমাপ্তি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তিতে রূপান্তর মাইলফলক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচ্য হবে। এছাড়া অবিলম্বে সুন্দরবন বিনাশী রামপাল প্রকল্পসহ সব কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে হবে। পরিচ্ছন্ন নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্পগুলোতে বিনিয়োগ করতে হবে। কয়লা নির্ভরতার অবসান কেবল পরিবেশের জন্যই নয়, এই অঞ্চলের জনস্বাস্থ্য ও আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
এশিয়া ডে অব অ্যাকশন টু ইন্ড কোল কর্মসূচি উপলক্ষে নৌশোভাযাত্রা ও মানববন্ধনে কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় অংশগ্রহণকারীরা কয়লাবিরোধী নানা স্লোগান লেখা প্লাকার্ড ও ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।