দ্রুত সংস্কার শেষে নির্বাচনের আহ্বান জামায়াতের
বিচার, প্রশাসন ও নির্বাচন ব্যবস্থার দ্রুত সংস্কার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এজন্য তার দল সরকারকে প্রয়োজনীয় সময় দিতে চায় জানিয়ে ডা. শফিক বলেন, নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপণ করলে তার মূল্য দিতে হতে পারে নতুন সরকারকে। জানান, নির্বাচনি জোট নিয়ে এখনই ভাবছে না জামায়াত।
৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। পতন হয় আওয়ামী দুঃশাসনের। তার ঠিক পাঁচ দিন আগে জামায়াত ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে সরকার।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মুহূর্তে সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক এবং ওই রাতেই উদ্ভুত পরিস্থিতে করণীয় নিয়ে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে অন্যান্য দলের নেতারাসহ বঙ্গভবনে আলোচনায় অংশ নেন জামায়াতে ইসলামী আমির। এরপর থেকেই প্রকাশ্যে রাজনীতির মাঠে, রাজধানী থেকে তৃণমূল পযর্ন্ত দেখা যায় ১৫ বছর ধরে স্বৈরশাসনে কোণঠাসা থাকা দলটিকে।
সম্প্রতি দলটির নেতাদের কিছু বক্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা আর প্রশ্নের জন্ম দেয় বিভিন্ন মহলে। এমন প্রেক্ষিতে জামায়াত আমিরের কাছে প্রশ্ন ছিল কেন এত সমালোচনা? ছাত্র-জনতার খুনিদের সাধারণ ক্ষমা করে দেওয়া প্রসঙ্গটির ব্যাখ্যা কি?
ক্ষমতার পালাবদলে দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতেদিন হতে পারে, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সরকারের করণীয় কী? এসব প্রশ্নেরও উত্তর দেন ডাক্তার শফিকুর রহমান।
জামায়াতের আমির বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার জরুরি, তবে মাথায় রাখতে হবে, নির্বাচন বিলম্বিত হলে তার খেসারত গুনতে হতে পারে সরকারসহ পুরো জাতিকে।
জাতীয় স্বার্থে সব মত ও পথের মানুষকে দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, সাম্য এবং ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।