পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় মেয়ের মৃত্যু, ১২ বছরেও বিচার পাননি বাবা-মা
১২ বছরেও মেয়ের মৃত্যুর কারণ জানতে পারেননি খুলনার পাইকগাছার হতদরিদ্র ভ্যানচালক হামিদ শেখ। ২০১২ সালে ঢাকায় এক পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় গৃহকর্মীর কাজে পাঠিয়েছিলেন মেয়েকে। ফিরতে হয়েছে লাশ হয়ে। মেয়ের লাশটিও দেখার সুযোগ হয়নি তাদের। তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করারও অভিযোগ করে পরিবারটি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভয়ভীতিতে এতো বছর চুপ ছিলেন, এবার মেয়ের হত্যার বিচার চাইছে পরিবার।
কন্যাসন্তানের শোকে কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকিয়ে গেছে হতভাগ্য বাবা-মার। কি হয়েছিল মেয়ের। কেনো অকালে মৃত্যু হলো, কিছুই জানতে পারেননি।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বাগপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক হামিদ শেখ ও তার স্ত্রী মরিয়ম দম্পতির দ্বিতীয় কন্যা সন্তান মীনা। অভাব অনটনের কারণে মীনাকে গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ছেলে স্বৈরাচার সরকারের আমলে ঢাকায় কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের বাসায় পাঠান। নিয়মিত যোগাযোগ ছিল না তাদের। পরে খবর আসে তার মেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ঢাকায় আসতে চাইলে বারণ করা হয়। পরে দ্রুত গ্রামে মীনার লাশ এনে তড়িঘরি করে দাফন করা হয় বলে তাদের অভিযোগ। বিষয়টি কাউকে জানানো হলে পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন হামিদ শেখ।
বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের বাবা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।