দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানসহ সাত আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।

আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। এদিন আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন আসামিরা। অপরদিকে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আদেশ দেন।

জামিনপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের প্রিন্সিপাল মো. ওবায়দুল্লাহ নয়ন, ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি আফরোজা বেগম, কমিটির অভিভাবক সদস্য মাহফুজা রহমান বীণা ও ওমর ফারুক, কলেজের সহকারী অধ্যাপক কানিজ ফাতিমা সাফিয়া ও মাতুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিন মিয়া।

২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদক উপ-পরিচালক শারিকা ইসলাম।

এজাহারে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে থাকা ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার এফডিআরের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের হিসাবরক্ষক আকরাম মিয়া। পরে তদন্তের দায়িত্ব পান সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল। একজন করণিকের নামে কীভাবে প্রায় ২৪ কোটি টাকার এফডিআর থাকতে পারে, ঘটনার শুরু থেকেই বিষয়টি রহস্যজনক। কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্তরা পুরো টাকা কলেজের বলে দাবি করে আসছিল, তবে টাকার যথাযথ হিসাব দিতে তারা ব্যর্থ হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে আকরাম মিয়ার পাশাপাশি আসামি হিসেবে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, প্রিন্সিপাল মো. ওবায়দুল্লাহ নয়ন, ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি আফরোজা বেগম, কমিটির অভিভাবক সদস্য মাহফুজা রহমান বীনা ও ওমর ফারুক, কলেজের সহকারী অধ্যাপক কানিজ ফাতিমা সাফিয়া ও মাতুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিন মিয়াকে যুক্ত করা হয়।