গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান হামলার শিকার
ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের দাবিতে ডাকা জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নাগরিক সমাবেশে অন্তর্বর্তী সরকারের কড়া সমালোচনা করে দেওয়া বক্তব্যের জেরে হামলার শিকার হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান। তাকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে। তবে তিনি এর জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করেছেন।
আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বক্তব্যে তাকে বাধা দেন সেখানে উপস্থিত জনতা। পরে তিনি সমাবেশস্থল ত্যাগ করতে গেলে তার ওপর অতর্কিত হামলা হয়।
গণঅধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজকে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশ ছিল। সেখানে আমাকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানায়। আমি সেখানে রাজনৈতিক বক্তব্য দেই। ছাত্রদলের কিছু লোক এখানে উপস্থিত ছিল। আমি বলেছি, আমরা জুলাই-আগস্টে বিপ্লব করেছি, একটা বিপ্লবী সরকারের গঠনের জন্য। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার চাইনি। আমরা হাসিনার সংবিধান ছুড়ে ফেলে একটি সফল বিপ্লব করেছি।
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, যারা ৫ আগস্টের পরে ক্যান্টনমেন্টে আর্মির প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সেদিনই মূলত অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত এসেছে। বিপ্লবী সরকার না হবার কারণে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিপ্লবী সরকার না থাকার কারণে দেশে সমস্যা ও সংকট তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে আমার এ বক্তব্য শতভাগ সঠিক।
ফারুক বলেন, আমার এই বক্তব্যে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা করে আমাকে আহত করেছে। আমার মোবাইলফোন, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে। নিজেকে গণঅধিকার পরিষদের নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও তারা এই হামলা চালিয়েছে।