বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, অনির্বাচিত সরকার দ্বারা দেশ পরিচালনা অনেক কঠিন। আমরা সংস্কার চাই। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও তারিখ ঘোষণা করতে হবে। কারণ নির্বাচন যতই প্রলম্বিত হবে, দীর্ঘায়িত হবে, সংকট ততই বাড়বে।

আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৭৯তম জন্মদিন উপলক্ষে চিনিশপুর বিএনপির কার্যালয়ে সদর উপজেলা বিএনপি ও শহর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খায়রুল কবির খোকন এসব কথা বলেন।

সংসদ সদস্য খায়রুল কবির খোকন বলেন, দেশে এখন অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে। যতই দিন গড়াবে দেশের সংকট তত বাড়বে। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সংকট আরও তীব্র হবে। তাই বিএনপি তথা জনগণের দাবি অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।

খায়রুল কবির খোকন বলেন, শেখ পরিবারের দুর্নীতি শুধু দেশেই নয়। বিদেশেও তারা দুর্নীতি করেছে। শেখ হাসিনার আত্মীয় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য টিউলিপের দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছে। উন্নয়ন উপ-প্রকল্পের নামে ৭ বিলিয়ন ডলার লুটপাট করেছে আওয়ামী লীগ। ৩০০ বিলিয়ন ডলার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে পাচারের প্রমাণ এফবিআই পেয়েছে। বাংলাদেশে আইডি কার্ড ভারতের কাছে ২০ হাজার কোটি টাকায় বিক্রি ও তৈরির নামে লোপাট করেছে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের অর্থ-সম্পদ লুটপাট করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে।

সাবেক এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, প্রশাসনে স্বৈরাচার হাসিনার দোসররা এখনো ঘাঁপটি মেরে বসে আছে। তাদের রেখে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না। গণহত্যা ও দমন নিপীড়নের সাথে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

নরসিংদী শহর বিএনপির সভাপতি গোলাম কবির কামালের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও সাবেক এমপি খায়রুল কবির খোকন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক উদ্দিন ভূইয়া, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, চিনিশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আওলাদ হোসেন মোল্লা, হাজিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদুল হাসান, যুবদল নেতা সুমন চৌধুরী, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ ফকির রনি, ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।