৭ কলেজের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস, কর্মসূচি প্রত্যাহার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাবির উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগসহ ছাত্রদের সকল দাবি মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সাথে বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বৈঠকে সাত কলেজের মধ্যে ঢাকা কলেজের ছাত্র মঈনুল ইসলাম ও রহমতুল্লাহ এবং ইডেন কলেজের সাদিয়া আফরিন মৌ উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংবাদিকদের ছাত্ররা সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
ছাত্র প্রতিনিধি মঈনুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদকে পদত্যাগ ও ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে ঢাবি প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। সে পর্যন্ত তিনি সাত কলেজের বিষয়ে কোনো কিছুতে থাকতে পারবেন না।
এছাড়া ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর নিউমার্কেট থানা পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় এসি, ওসিসহ জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সকল দাবি মেনে নেওয়ায় আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করলাম। ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় সবার প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ছাত্র প্রতিনিধি সাদিয়া আফরিন মৌ বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে। সব দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে আশাবাদী।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে মেনে নেওয়া হবে। এর আগে ছয় দফা দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রুমে বৈঠক বসে ছাত্ররা।
তাদের দাবিগুলো হলো-
১. সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘাতের দায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে এবং উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে।
২. ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর নিউমার্কেট থানা পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় এসি, ওসিসহ জড়িত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী ইডেন কলেজ ও বদরুন্নেচ্ছা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও অশালীন অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান ঘটিয়ে তা বাতিল করে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।
৫. উদ্ভুত পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ইউজিসি সদস্য এবং ঢাবি ভিসির সমন্বয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি টিমের সঙ্গে তাৎক্ষণিক উচ্চ পার্যায়ের মিটিংয়ের মাধ্যমে এ ঘটনার সমাধান করতে হবে।
৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এরিয়ায় সিটি করপোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। কলেজের শিক্ষার্থীরা এ সময় তারা ছয় দফা দাবি জানিয়ে তা মানতে চার ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। বিকেল চারটার মধ্যে দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো-
১. সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘাতের দায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে এবং উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে।
২. ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর নিউমার্কেট থানা পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় এসি, ওসিসহ জড়িত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী ইডেন কলেজ ও বদরুন্নেচ্ছা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও অশালীন অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান ঘটিয়ে তা বাতিল করে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।
৫. উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ইউজিসি সদস্য ও ঢাবি ভিসির সমন্বয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি টিমের সঙ্গে তাৎক্ষণিক উচ্চ পার্যায়ের মিটিংয়ের মাধ্যমে এ ঘটনার সমাধান করতে হবে।
৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এরিয়ায় সিটি করপোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।