সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে : আসিফ নজরুল
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বাংলাদেশের শ্রমবাজারের গুণগত পরিবর্তন প্রয়োজন। সৌদি আরবে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, নার্স এবং টেকনিশিয়ানসহ দক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মী পাঠানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রীর আমন্ত্রণে গ্লোবাল লেবার মার্কেট কনফারেন্সে অংশগ্রহণের জন্য ড. আসিফ নজরুল সৌদি আরবে সরকারি সফরকালে এসব কথা বলেন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকায় এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০-এর বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং বিমান টিকিটের উচ্চ মূল্য এবং রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে তাদের অভিযোগ শোনেন। এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন এবং প্রবাসীদের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ওয়েবসাইট ব্যবহারের আহ্বান জানান। প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারের আরও উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুলি সৌদি রিক্রুটমেন্ট কোম্পানিগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন, যারা বাংলাদেশের দক্ষ পেশাদারদের উপস্থিতি স্বীকার করলেও তথ্যের অভাব, মার্কেটিং, নেটওয়ার্কিং, ভিসা প্রসেসে দীর্ঘসূত্রিতা, ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা এবং বোর্ডিং-পূর্ব প্রশিক্ষণের অভাবের মতো চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন। তিনি নিয়মিত শ্রম মেলা, সেমিনার ও কোম্পানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা দূতাবাসের ই-ডিমান্ড এটেস্টেশন সিস্টেম উদ্বোধন করেন, যার মাধ্যমে সৌদি কোম্পানিগুলো অনলাইনে নিবন্ধন করে দূতাবাসে না গিয়েই কর্মী চাহিদাপত্র সত্যায়িত করতে পারবে, যার মাধ্যমে কাজে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আসবে। উপস্থিত সৌদি কোম্পানিসমূহের কর্তাব্যক্তিরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, সরকার এ বিষয়ে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য সম্ভাব্য বিকল্পগুলো যাচাই করছে।
পরে ড. নজরুল ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলওয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।