নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধ অর্থ আত্মসাৎ এবং মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
আক্তার হোসেন বলেন, বিসিবির সাবেক সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপনসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের অন্যান্য কর্মকতাদের যোগসাজশে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন পাপন। আত্মগোপনে থেকেই পরিচালকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে তিনি বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়েন।
২০১২ সাল থেকে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন পাপন। এক যুগেরও বেশি সময়ে প্রতিষ্ঠানটিতে তার একক কর্তৃত্ব চলত বলে অনেকেই দাবি করেন। ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্বও পান তিনি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গত ২১ আগস্ট বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব ছাড়েন পাপন।
এর আগে গত রোববার (১৬ মার্চ) দুর্নীতির অভিযোগে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের এই সাবেক সংসদ সদস্য ও বিসিবির সাবেক সভাপতি এবং তার স্ত্রী রোকসানা হাসানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের ২৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দিয়েছিলেন।
এবার ক্রিকেট বোর্ডেও পাপনের দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান পাপন ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। এসব ব্যাংক হিসাবে মোট ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা জমা রয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদন সূত্রে জানা গেছে।