বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে যে বাণিজ্য তা প্রত্যাশিত নয়। কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্যিক লক্ষ্য অর্জনে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।

আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার একটি হোটেলে ‘পাকিস্তান-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

সেখ বশিরউদ্দীন বলেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক শক্তিশালী এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দুই দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন, বাণিজ্য প্রসার ও বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এটি কাজ করবে।

দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে যে বাণিজ্য তা প্রত্যাশিত নয়। কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্যিক লক্ষ্য অর্জনে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দুই দেশের মধ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সেগুলো কীভাবে যৌক্তিক করা যায় সেটি বের করতে হবে। পরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার করতে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সঙ্গে পাকিস্তান রেডিমেড গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিআরজিএমইএ) সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। বিজিএমইএর পক্ষে এর প্রশাসক ও বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন ও পিআরজিএমইএ ভাইস চেয়ারম্যান আমির রিয়াজ ছোট্টানি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান ও বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উপস্থিত ছিলেন।