বেনাপোল কাস্টমসে ফের কলমবিরতি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানকে অপসারণের দাবিতে ফের কলমবিরতি পালন করছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা এই কর্মবিরতি পালন করা হয়।
তবে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি এবং চেকপোস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা স্বাভাবিক ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার রাজন হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বেনাপোল কাস্টমস হাউসে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কোনো শুল্কায়নের কাজ হয়নি। এই সময়ের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনলাইন সার্ভারও বন্ধ ছিল, যার ফলে বিল অব এন্ট্রি দাখিল সম্ভব হয়নি। দুপুর ২টার পর থেকে আবার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়।
কলমবিরতির কারণে নতুন কোনো পণ্যের আইজিএম (ইমপোর্ট জেনারেল ম্যানিফেস্ট) ইস্যু হয়নি। তবে আগের ইস্যুকৃত আইজিএম অনুযায়ী আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলেছে। দুপুর ২টার পর থেকে নতুন আইজিএম ইস্যু করা হয়।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। এনবিআর গঠিত কমিটিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। যেকোনও ধরনের প্রতিহিংসামূলক বদলি ও নিপীড়ন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এই দাবিতেই দেশের অন্যান্য কাস্টমস হাউসের মতো বেনাপোল কাস্টমস হাউসেও পাঁচ ঘণ্টা কলমবিরতি পালন করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। কেন্দ্রীয় সংস্কার ঐক্য পরিষদ যেসব সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা তা অনুসরণ করব।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে সরকার এনবিআরকে দুটি ভাগে বিভক্ত করার অধ্যাদেশ জারি করে। এর বিরোধিতা করে এনবিআরের অধীন কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা ২৬ মে পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।
২৫ মে রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এনবিআর বিলুপ্ত নয় বরং এটি একটি ‘স্বাধীন ও বিশেষায়িত’ বিভাগ হিসেবে গঠন করা হবে। এ ঘোষণার পর ২৬ মে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। তবে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।