বাসের ধাক্কায় লাকসামে যাত্রী নিহত, মুরাদনগরে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লার লাকসামে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত এবং মুরাদনগরে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত মুরগির খামারের কাছ থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের লাকসামের খিলা বাজারে হিমাচল এক্সপ্রেস বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত ও তিন যাত্রী আহত হন।
নিহত বাদল মিয়া মনোহরগঞ্জ উপজেলার বানদুয়াইন গ্রামের মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লালমাই হাইওয়ে পুলিশ জানান, আজ দুপুরে দ্রুতগতিতে আসা ঢাকাগামী হিমাচল এক্সপ্রেসের বাসটি একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় অটোরিকশাটি। এ সময় চালকসহ চারজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পথে একজন মারা যান। এদিকে গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এই দুর্ঘটনায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে গতকাল সোমবার দিনগত রাতে মুরাদনগরে বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত মুরগির খামারের কাছ থেকে মিনহাজ নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মিনহাজ (৩০) উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পীরকাশিমপুর উত্তরপাড়ার আনোয়ার হোসেন মাস্টারের ছোট ছেলে। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, সেটি নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল ৩টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন মিনহাজ। রাতে এশার নামাজের পরও বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে রাত ১১টার দিকে বাড়ির কাছেই একটি পরিত্যক্ত মুরগির খামারের পাশে মরদেহ পায়।
এ সময় স্থানীয়রা বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশকে খবর দিলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিবারের সন্দেহ, কেউ তাকে হত্যা করে ফেলে রেখে যেতে পারে।
এ বিষয়ে ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে রাতেই সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে, সুরতহালের সময় তার কপালে দুটি ছোট ক্ষত চিহ্ন দেখা গেলেও এটি দেখে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন বলে মনে হয়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।