গৃহবধূ হত্যার ৪ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার

চার বছর আগে বাগেরহাটের ফকিরহাটে সংঘটিত গৃহবধূ সুমি আক্তার পুতুল (২৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার লাকসাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির বাগেরহাট ইউনিট। গ্রেপ্তার আসামি হলেন- বিজয় ওরফে রিংকু হোসাইন (৩৮)।
জসীম উদ্দিন জানান, ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর সকালে ফকিরহাট উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামে নিজ বাড়ির পাশের একটি ঘের থেকে সুমি আক্তার পুতুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ফকিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সিআইডির তদন্তে জানা যায়, নিহত সুমি আক্তারের সাথে আসামি বিজয়ের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। হত্যাকাণ্ডের রাতে সুমি বিজয়কে তার স্বামী-সংসার ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে নতুন সংসার গড়ার জন্য চাপ দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয় সুমির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর সে মরদেহটি নারিকেলের ডালপালা দিয়ে ঢেকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
সিআইডি জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিজয় হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, পরকীয়া সম্পর্ক ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে এবং বিয়ের চাপ থেকে বাঁচতেই সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। পরবর্তীতে বিজয় ওরফে রিংকু হোসাইন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।