নিউইয়র্কে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
বন্দুকধারীর হামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের মৃত্যুতে তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কের একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দিদারুল ইসলামের প্রতি সম্মাননা জানাতে প্রধান উপদেষ্টা পরিবারের সদস্যদের হাতে একটি ক্রেস্ট তুলে দেন।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন দিদারুল ইসলামের বাবা মোহাম্মদ আবদুর রব, মা মিনারা বেগম, দুই ছেলে আয়হান ইসলাম ও আজহান ইসলাম, ভাই কামরুল হাসান, ভাইয়ের ছেলে আদিয়ান হাসান, বোন নাদিমা বেগম ও চাচা আহমেদ জামাল উদ্দিন। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পত্রিকায় ঘটনাটি পড়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে হলো। টিভিতে দেখেছি নিউ ইয়র্কে তার শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল। বহু মানুষের শোক-শ্রদ্ধা-ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। নিউ ইয়র্কে আসার পরিকল্পনার মধ্যেই আমাদের মনে হয়েছে অবশ্যই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, দিদারুল ইসলাম নিউইয়র্ক পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ও প্রশংসিত কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন এবং ব্রঙ্কসের ৪৭ নম্বর প্রিসিঙ্কটে কর্মরত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের পার্ক অ্যাভিনিউয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন দিদারুল ইসলাম। এক তরুণ বহুতল ভবনের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় এবং পরে নিজেই আত্মহত্যা করে। সেসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে গুলিতে দিদারুল নিহত হন। দিদারুলের মরদেহে আট থেকে দশটি বুলেটের চিহ্ন ছিল বলে তার পরিবার জানিয়েছে।