দেশে দুই দশক ধরে স্তন ক্যানসার সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হলেও প্রতিরোধ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে স্ক্রিনিং সেবা এখনও যথাযথভাবে গড়ে ওঠেনি। প্রতিবছর কত নারী এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং কতজন মারা যাচ্ছেন, সেই সঠিক তথ্য সরকারের কাছে নেই। ফলে বাংলাদেশকে এখনও আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিসংখ্যানে নির্ভর করতে হচ্ছে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ব্রেস্ট ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস সেমিনারে বক্তারা জানান, প্রতি আটজন নারীর মধ্যে একজন স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে রয়েছেন। ২০২০ সালে বিশ্বে নতুন রোগীর সংখ্যা ২২ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন প্রায় ৬ লাখ ৮৫ হাজার নারী। একই বছরে বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার নারী এবং মারা গেছেন ৬ হাজার ৭৮৩ জন।

সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত হলে চিকিৎসায় সাফল্যের হার অনেক বেশি, তবে দেশে স্ক্রিনিং ও প্রাথমিক সেবা সীমিত। তাই সারাদেশে ব্যাপক স্ক্রিনিং কর্মসূচি নেওয়া এখন সময়ের দাবি।

কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর বশীর আহম্মেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রেজা মো. সারোয়ার আকবর। স্বাগত বক্তব্য দেন ট্রমা সেন্টারের প্রধান উপদেষ্টা মো. জহিরুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রেস্ট ক্যানসার বিশেষজ্ঞ কনসালটেন্ট ডা. কাজী ইশরাত জাহান, ডা. কামরুল ইসলাম মামুন এবং ডা. এম.এম.এম. আরিফ হোসেন। বিশেষজ্ঞ বক্তা ছিলেন অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন ভুইয়া এবং অধ্যাপক ডা. সফিউল আজম চৌধুরী।