জোবায়ের হত্যায় বর্ষাসহ তিনজনের স্বীকারোক্তি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার সিএমএম আদালতের পৃথক চার বিচারকের কাছে আসামিরা এ জবানবন্দি দেন।
স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিরা হলেন-শাবনাম বর্ষা, মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়লান।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, স্বীকারোক্তি শেষে আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
নথি থেকে জানা গেছে, আজ সকালে রাজধানীর বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। এতে বর্ষাসহ তিনজনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা হিসেবে ৪-৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, জোবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশন করতেন। প্রতিদিনের মতো তিনি রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বংশাল থানার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর বক্স লেনের ১৫ নম্বর হোল্ডিং রৌশান ভিলায় বর্ষাকে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য যান। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে বর্ষা জোবায়েদ হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে জানান যে, জোবায়েদ স্যার খুন হয়েছে। কে বা কারা খুন করেছে।
পরে জোবায়েদের ভাই, রাত সাড়ে ৮টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, রৌশান ভিলা ভবনের নিচতলা থেকে ওপরে ওঠার সিঁড়ি ও দেয়ালে রক্তের দাগ। ওই ভবনের তৃতীয় তলার পূর্ব পাশে সিঁড়ির ওপর জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উপুড় অবস্থায় দেখা যায়। সুরতহাল প্রস্তুত করার সময় তার গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।