কুমিল্লা মেডিকেলে দালাল বিরোধী অভিযান, ১০ জনকে কারাদণ্ড
দীর্ঘদিন ধরে দালালদের দৌরাত্ম্যে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা অসহায় অবস্থায় ছিলেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে।
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) যৌথ অভিযানে হাসপাতাল থেকে ১০ জন দালালকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটককৃত প্রত্যেককে তাদের অপরাধ অনুযায়ী ১০ থেকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরোজ কোরাইশি দৃপ্তের নেতৃত্বে কুমেক হাসপাতালে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অনেক দালাল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে হাসপাতালের প্রাঙ্গণে র্যাবের অভিযানে প্রথমে ১৪ জনকে আটক করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর দালাল কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. সোহেল (৩০), মাহবুবুর রহমান (২৮), মো. জাকির (৪৩), মো. তাজুল ইসলাম, মাহমুদ (৪০), মো. নাছের (৩৬), মো. ইমন (২১), মো. আলাদিন, মো. অপু (৩৪) ও আব্দুল আজিজ।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কুমিল্লা র্যাব-১১ এর কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম। তিনি জানান, এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল কার্যক্রম যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা ভয়ানক। এখানে ওয়ার্ডবয় থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স চালক পর্যন্ত সবাই দালালি কার্যক্রমে জড়িত। তাদের হাতে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী ও তার স্বজন চিকিৎসা নিতে এসে প্রতারিত হচ্ছেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজকে দালাল শূন্যের কোটায় আনা এবং শৃঙ্খলা ফেরাতে র্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরোজ কোরাইশি দৃপ্ত জানান, জেলা প্রশাসন ও র্যাবের যৌথ অভিযানে মেডিকেল কলেজে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগে প্রথমে ১৪ জনকে আটক করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর জড়িত ১০ জনকে ১০ থেকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা