নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে : ইসি আনোয়ারুল
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে এবং ভোটগ্রহণ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ইসি আনোয়ারুল ইসলাম।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই নির্বাচনের জন্য একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। আমরা রমজান মাসের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী এবং কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের ভোটে অংশগ্রহণ নিশ্চিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা নভেম্বর মাস থেকে ভোটার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন। প্রবাসী ভোটাররা অনলাইনের মাধ্যমে বা প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। এতে তারা নিজের ভোটাধিকার নির্বিঘ্নে প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। একইসঙ্গে কারাগারে থাকা আসামিদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে যাতে কারাগারে থাকা ভোটাররাও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন : গণভোটের বিষয়ে যে সিদ্ধান্তই হোক, নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে : শফিকুল আলম
এসব উদ্যোগ দেশের নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে এবং ভোটারদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে বলে মনে করেন এই নির্বাচন কমিশনার।
ইসি আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, কমিশন ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি শুরু করেছে। এতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, কেন্দ্রভিত্তিক প্রস্তুতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নির্বাচনি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নির্ধারণ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই মাঠ পর্যায়ের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি প্রান্তে শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করা। জনগণ যাতে ভোটকেন্দ্রে সহজে পৌঁছাতে পারে এবং ভোটাধিকার নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন : জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল
এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরীসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে নির্বাচন কমিশনার কুয়াকাটায় একটি কর্মশালায় যোগ দিতে রওনা হন।
নির্বাচন কমিশনার আগামীকাল শনিবার কুয়াকাটায় একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করবেন, যেখানে নির্বাচনি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

মাহমুদ রায়হান, পটুয়াখালী (সদর-মির্জাগঞ্জ)