জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। গত কয়েকদিন ধরে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে।
আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডার আমেজ বেশি থাকে। তবে রোদ ওঠার পর চারপাশের পরিবেশ ধীরে ধীরে উষ্ণ হয়। গতকাল মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন : বৃষ্টি নিয়ে ৫ দিনের পূর্বাভাসে যা জানাল আবহাওয়া অফিস
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত সপ্তাহ জুড়ে জেলার তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ছিল। মঙ্গলবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ‘রাত বাড়লেই ঠান্ডা বাড়ে। সূর্য উঠলেই তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। আজ ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে। এই মাসের শেষে হালকা শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।’
জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রুমামা আকতার জানান, শীত লাগার কারণে তার মেয়ে জ্বর-সর্দিতে ভুগছে। রাতে কষ্ট হওয়ায় তিনি ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাসপাতালে আসা বেশিরভাগ শিশু-রোগীই শীতজনিত কারণে অসুস্থ।
আরও পড়ুন : ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর ঢাকা
অন্যদিকে, ভোরে রাস্তায় কাজ করা শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। ভ্যানচালক আবুল হোসেন জানান, ভোরবেলা ঠান্ডা এমন থাকে যে হাত-পা জমে আসে, ভ্যান চালানো খুব কষ্ট হয়। তবে রোদের পর উষ্ণতা পেলে কাজ করা সহজ হয়।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী মো. সাইমুজ্জামান বলেন, ‘শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সহায়তা করছে।’

ফাহিম হাসান, পঞ্চগড় (সদর-আটোয়ারী-বোদা)