হাদি হত্যাচেষ্টা : ফয়সালকে পালাতে সহায়তা করে উজ্জ্বল
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বলকে তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম এই আদেশ দেন। ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার পরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল আহমেদ আসামিকে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানিতে বলেন, মাননীয় আদালত, ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ইতোমধ্যে প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে উজ্জ্বলের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ঘটনার দিন ফয়সাল তার বোনের বাসা থেকে বের হওয়ার সময় উজ্জ্বল প্রাইভেটকারের মাধ্যমে তাকে পালাতে সহায়তা করেন। হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি এবং প্রধান আসামিও পলাতক রয়েছেন। তার অবস্থান নিশ্চিত নয়। রিমান্ডে নিলে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।”
এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা শুনানিতে বলেন, “নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল ফয়সালকে মাইক্রোবাসে পালানোর সুযোগ করে দেন। অস্ত্র উদ্ধারের স্বার্থে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
তবে এসময় উজ্জ্বলের পক্ষে আদালতে কোন আইনজীবী ছিলেন না। তিনি বিচারকের কাছে বলেন, আমি গাড়ি ভাড়ার ব্যবসা করি। হোয়াটসঅ্যাপে রেন্ট-এ কারের ব্যবসা করি। ফয়সালের সঙ্গে ৯ মাস ধরে পরিচয়। তবে গত তিন মাস কোন যোগাযোগ ছিল না। ঘটনার দিন ফয়সাল গাড়ি পাঠাতে বললে আমি পাঠাই। এটা আমার ব্যবসা। গাড়ি নিয়ে তিনি কী করবেন, তা আমি জানতাম না। শুনানি শেষে বিচারক তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। মোটরসাইকেলে থাকা আততায়ী তাকে গুলি করে মোটরসাইকেলে করেই পালিয়ে যায়।

আদালত প্রতিবেদক