নিজাম হাজারীসহ ৭১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফেনীর মহিপালে টমটমচালক মো. সবুজ হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ পলাতক ৭১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ফেনী সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান এ আদেশ দেন।
গত বছরের ৪ আগস্ট মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নির্বিচারে করা গুলিতে প্রাণ হারান মো. সবুজ। পরে ওই বছরের ১৩ আগস্ট তার ভাই মো. ইউছুফ বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলায় ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী সদর উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুষেন চন্দ্র শীল, সাবেক পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক মিয়া বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর সবুজ হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ৬৫ জন এবং তদন্তে পাওয়া ৫৯ জনসহ মোট ১২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর আদালত চার্জশিট পর্যালোচনা করেন। এ মামলায় এজাহারনামীয় পাঁচজন ও সন্দেহভাজন ৪৯ জনসহ মোট ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে সাতজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাদের মধ্যে কেউ আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেননি।
আদালতের পুলিশের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগপত্রে ১২৪ জনকে আসামি করা হলেও বিভিন্ন সময় এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৫৪ জন। গ্রেপ্তার ৫৪ জনের মধ্যে ৫৩ জনকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে।
অপর ৭১ জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। দু-এক দিনের মধ্যে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে সংঘটিত নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত মডেল থানায় ২৪টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে সাতটি হত্যা ও ১৭টি মামলায় হত্যাচেষ্টা ও সহিংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

জাহিদুল রাজন, ফেনী জেলা (সদর-ছাগলনাইয়া)