ঋষিজের বর্ষপূর্তিতে সম্মাননা পেলেন ৫ গুণীজন
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে গুণীজন সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর ৪৪ বছর পূর্তি উদযাপন করা হলো। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এবার ‘ঋষিজ পদক ২০২০’ দেওয়া হয় দেশের পাঁচ জন গুণী ব্যক্তিত্বকে। শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘স্বাধীনতার শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তার একটা জ্বলন্ত উদাহরণ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে উগ্রপন্থীদের মাতামাতি। সংস্কৃতিচর্চা যত বেশি হবে, রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে উগ্রবাদ এবং জঙ্গিবাদ তত বেশি নির্মূল হবে।’
বিশেষ অতিথি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘যাঁরা সম্মাননা পেয়েছেন, তাঁরা সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। মৌলবাদী শক্তিকে প্রতিহত করতে সংস্কৃতিচর্চাকে আরো বেগবান করতে হবে।’
মুজিববর্ষে এমন একটি অনুষ্ঠান করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান অতিথিরা। আলোচনায় আরো অংশ নেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুছ ও চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানা গেছে, দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক আয়োজনে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, স্ব-ভূমি লেখক কেন্দ্র, আনন্দম, পঞ্চভাস্কর, সমস্বর, উজান, উঠোন, ঋষিজ ও সংস্কৃতি মঞ্চ। দলীয় সংগীতের প্রতিটি পরিবেশনায় উচ্চারিত হয় বঙ্গবন্ধুর কীর্তিগাথা। লোকগানের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কয়েকটি গান পরিবেশন করেন গানের দলগুলো।
সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে পুরো অনুষ্ঠান উৎসর্গ করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে ‘আমরা ঋষিজ করি’ দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সংগঠনের শিল্পীরা।
এরপর শুরু হয় গুণীজন সংবর্ধনা। এবার ঋষিজ সম্মাননা পেয়েছেন অভিনয়ে রাইসুল ইসলাম আসাদ, সংগীতে খুরশীদ আলম, চলচ্চিত্রে সুজাতা, আবৃত্তিতে ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও গণমাধ্যমে নওয়াজীশ আলী খান।