করোনা থেকে সুরক্ষায় সাত তারকা হোটেলে ইয়াশ
ভারতের দক্ষিণী সুপারস্টার ইয়াশ সাত তারকা হোটেলে অবস্থান করছেন। ১৯ ডিসেম্বর ‘কেজিএফ : চ্যাপ্টার টু’ সিনেমার নিজের শিডিউল শেষ হওয়ার পর থেকেই মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলের সুইট রুমে থাকছেন এই কন্নড় তারকা।
পরিচালক প্রশান্ত নীলের ‘কেজিএফ : চ্যাপ্টার টু’ সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলিউডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড হাঙ্গামাকে বলেছে, ‘কয়েক ডজন অনুজ অভিনেতা এবং সারা শরীরে কাদা ও নকল রক্ত মেখে জটিল অ্যাকশন সিক্যুয়েন্সের শুটিংয়ের সময় করোনার নির্দেশনা মেনে চলা খুবই কঠিন ইয়াশের জন্য। হ্যাঁ, এটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তাই ১৯ ডিসেম্বর নিজের শিডিউল শেষ হওয়ার পর থেকেই করোনা পরীক্ষা করিয়ে মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে নিজের স্থায়ী সুইটে থাকছেন তিনি। ফলাফল নেগেটিভ এলে স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে দেখা করবেন ইয়াশ।’
জানা গেছে, শুধু ইয়াশ নয়, ‘কেজিএফ : চ্যাপ্টার টু’র শুটিংয়ে অংশ নেওয়া প্রত্যেক ক্রু ও কাস্ট সদস্যদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইয়াশ জানিয়েছেন, ‘আমার মতো তাদেরও পরিবারের কাছে যেতে হবে। তাদের পরিবারেও আমার পরিবারের মতো মহামারি সংক্রমণের আশঙ্কা আছে এবং আমার পরিবারের মতো তাদের পরিবারও মূল্যবান।’
ইয়াশ ২০০৮ সালে ‘মোগগিনা মনসু’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রশিল্পে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ‘মোদালসালা’ (২০১০), ‘রাজধানী’ (২০১১), ‘কিরটকা’ (২০১১), ‘ড্রামা’ (২০১২), ‘গুগলি’ (২০১৩), ‘রাজা হুলি’ (২০১৩), ‘গাজাকেসারি’ (২০১৪), ‘মি. অ্যান্ড মিসেস রামচারী’ (২০১৪), ‘মাস্টার পিস’ (২০১৫) ও ‘কেজিএফ : চ্যাপ্টার ওয়ান’সহ বাণিজ্যিকভাবে সফল অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁকে দক্ষিণ ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।