দ্বিতীয় সপ্তাহেও উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশের ‘হাওয়া’র দাপট
প্রথম কোনও বাংলাদেশি সিনেমা হিসেবে উত্তর আমেরিকায় দ্বিতীয় সপ্তাহে রেকর্ড ৩৫টি থিয়েটারে চলছে ‘হাওয়া’। এমনটি জানাচ্ছে সিনেমাটির আন্তর্জাতিক পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর।
৯ সেপ্টেম্বর থেকে আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত এএমসি, রিগ্যাল, সিনেমার্ক, হারকিন্স, শোকেইস চেইনে ১১টি স্টেট-এর ২২টি থিয়েটারে দ্বিতীয় সপ্তাহেও বইছে ‘হাওয়া’। স্টেটগুলো হলো নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া, মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, মিশিগান, ম্যাসাচুসেটস, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া ও অরিগন।
একই দিন থেকে পুরো সপ্তাহ কানাডায় সিনেপ্লেক্স এন্টারটেইনমেন্ট ও ল্যান্ডমার্ক-এর চেইনে সাতটি প্রভিন্স অন্টারিও, কুইবেক, ম্যানিটোবা, অ্যালবার্টা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, সাসকাচুন, নোভাস্কোশিয়া-এর ১৩টি থিয়েটারে দ্বিতীয় সপ্তাহেও (৯-১৫ সেপ্টেম্বর) বইছে ‘হাওয়া’।
এর আগে প্রথম বারের মতো ইউএস টপ চার্টে উঠে আসে বাংলাদেশের ‘হাওয়া’, চার দিনে আয় করে ২ কোটি টাকার বেশি।
মুক্তির সপ্তম সপ্তাহে এসেও বাংলাদেশের ২৬টি প্রেক্ষাগৃহে বইছে ‘হাওয়া’।
টিভি ফিকশন ও বিজ্ঞাপনের খ্যাতিমান নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালনায় ‘হাওয়া’ সিনেমাটির গল্প মাঝসমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি মাছ ধরার ট্রলারে আটকে পড়া আট জন মাঝি-মাল্লা এবং এক রহস্যময় বেদেনিকে ঘিরে কাহিনি আবর্তিত হয়েছে। মিস্ট্রি ড্রামা ঘরানার, ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রটি মূলত এ কালের রূপকথা। রূপকথানির্ভর সিনেমার প্রচলিত এ ফর্মটি সিনেমার পর্দায় নতুন আঙ্গিকে দেখতে পাবেন দর্শকেরা বলে জানাচ্ছে সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড এবং নির্মাণ সংস্থা ফেইসকার্ড প্রোডাকশন।
মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনি এবং সংলাপে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান এবং জাহিন ফারুক আমিন।
তারকাবহুল এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুশি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান এবং বাবলু বোস। চিত্রগ্রহণ করেছেন কামরুল হাসান খসরু, সম্পাদনা সজল অলক, আবহ সংগীত রাশিদ শরীফ শোয়েব এবং গানের সংগীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী।