হুজুরকে চেনা যায়?
গাজীপুরের কাপাসিয়ার শীতলক্ষ্যা নদীতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মহড়া চলছে। তাদের পথ দেখাচ্ছেন একজন; সাদা-কালো দাড়ির বয়স্ক মানুষটির পরনে সাদা জোব্বা। চারপাশে শুনশান নিরবতা। এমন দৃশ্য দেখা গেল গত মঙ্গলবার দুপুর ৩টায়।
সেই দৃশ্য নদীর দুপাশ থেকে উপভোগ করেছেন শতাধিক মানুষ। এমন সময় ‘কাট’ বলে উঠলেন পরিচালক অরণ্য আনোয়ার।
নৌকা যখন ঘাটে ফিরল, প্রথম দেখায় তাঁকে চেনার উপায় নেই যিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পথ দেখাচ্ছিলেন। চোখে সুরমা আর পান খাওয়া লাল টকটকে ঠোঁট; সালাম দিয়ে নিজেই জানতে চাইলেন, ‘হুজুরকে চেনা যায়’?
এই ‘হুজুর’ অভিনেতা সাজু খাদেম। এরপর হুজুরের সঙ্গে যে আলাপচারিতা জমলো তাতে তিনি জানালেন, এখানে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ‘মা’ সিনেমার শুট হচ্ছে। সেখানে তিনি অভিনয় করছেন মমিনুল হুজুরের চরিত্রে। তবে চরিত্র নিয়ে বিস্তারিত বলা যাবে না; লুক দেখে বুঝে নিতে হবে।
তবে যেটুকু জানালেন, সেটা সাজু খাদেমের ভাষ্যে এমন, ‘সিনেমায় আমার তিন বউ। তাঁরা হলেন ফারজানা ছবি, রেবেনা করিম জুঁই ও লাবন্য। সিনেমাটির জন্য দাড়ি রেখেছি, চুল বড় রাখতে হয়েছে, নিয়মিত পান খাচ্ছি।’
এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে সাজু খাদেমের এই আলাপচারিতা যখন চলছিল তখন দুপুরের খাওয়ার বিরতি প্রায় শেষ। পরিচালক জানালেন, খাওয়া শেষ করেই ক্যাম্পে শুট। সেটি নদী থেকে ২০ মিনিট দূরত্বের একটি মাদ্রাসায়। সেখানে সেট ফেলা হয়েছে পাকিস্তানি হানাদার ক্যাম্পের। সিনেমাটিতে পাকিস্তানি আর্মির মেজরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আবুল কালাম আজাদ।
ক্যাম্পে গিয়ে পরিচালক অরণ্য আনোয়ার জানালেন, ‘যুদ্ধকালীন এক মা ও একটি বাচ্চার গল্পকে কেন্দ্র করে ঐতিহাসিক পটভূমি নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করছি। এই লোকেশন খুঁজে বের করতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে আমাদের। ৫ নভেম্বর শেষ হচ্ছে সিনেমাটির প্রথম লটের শুট। বাকি শুট জানুয়ারিতে; তখন অংশ নিবেন পরী মণি। সিনেমাটিতে তিনি মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন।’
নির্মাতা আরও জানিয়েছেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে ‘মা’ মুক্তি দিতে চান। পোস্ট প্রডাকশনে জটিল কাজ আছে। সবকিছু গুছিয়ে শেষ করতে করতে সিনেমার বাজেট কোটির কাছাকাছি চলে যাবে।