দেশে ফিরে এলেও অভিনেত্রী দিতির স্বাস্থ্যগত অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি। আজ সকাল থেকে আবারও অসুস্থ তিনি, সংকটাপন্ন তাঁর পরিস্থিতি। চিকিৎসার বিষয়ে সার্বিক সেবার চেষ্টা করে চলছেন চিকিৎসকরা। গতকাল তাঁকে দেখতে এসেছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আজ সকালে এসেছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। গত শুক্রবার ঢাকায় ফেরার পর পরই ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এক সময়ের জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকাকে।

সকাল থেকে আবারও তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতির কথা জানিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের মিডিয়া সেন্টার থেকে ডা. সাগুফা আনোয়ার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। আজ সকাল থেকে কিছুটা সমস্যায় পড়েছি। কারণ উনার টিউমারের যে অপারেশনটা ভারতে হয়েছিল সেটা পরিপূর্ণ করা যায়নি, যে কারণে উনার ব্রেনে পানি জমে যায়। পানি বের করার জন্য একটা টিউবের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল সেখান থেকে। কিন্তু আজ সকাল থেকে সেই পানি বেরুবার লাইনটা বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা বিকল্প ব্যবস্থায় পানি বের করছি। তবে আমরা বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত নই, কারণ এ ধরনের রোগীর এমন অনেক সমস্যার সামনেই আমাদের মুখোমুখি হতে হবে এবং আমরা প্রস্তুত। গতকাল দিতি ম্যাডামের স্বাস্থ্যের খবর নিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম স্যার এসেছিলেন। আমাদের সেবায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।  আজ সকালে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু স্যার এসেছিলেন। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করব। আপনারা দোয়া করবেন।’

ভারতের চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিকস অ্যান্ড ট্রমাটোলজি (এমআইওটি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দিতি। সেখানেই মস্তিষ্কের ক্যান্সারে আক্রান্ত দিতির চিকিৎসা চলছিল গত ২৫ জুলাই থেকে।

মাঝে কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফিরলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্বিতীয় দফায় গত নভেম্বরে তাঁকে আবারও চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কেমোথেরাপি ও বিকিরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দূরারোগ্য পারকিনশনস রোগে আক্রান্ত হন তিনি। বর্তমানে এ রোগের দ্বিতীয় পর্যায়ে আছেন দিতি, যা চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা সময়সাপেক্ষ। সে কারণেই ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে।