আরবাজ-মালাইকার বিচ্ছেদের কারণ
অনেকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু যাদের নিয়ে আলোচনা তাঁরা এ বিষয়ে কোনো কথাই বলছেন না। আরবাজ খান আর মালাইকা অরোরার সংসার ভেঙে গেছে এমনটাই জোর গুজব বলিউডে।
এবার সেই গুজবের কিছু কার্যকারণও উদ্ধার করেছে ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া। যদিও এসব কোনো কিছুই নিশ্চিত খবর নয়।
আরবাজ-মালাইকার ১৭ বছরের সংসার নাকি ভেঙেছে খান পরিবারের সদস্যদের অনধিকার চর্চার কারণে। এ ছাড়া আরবাজের ব্যর্থ ক্যারিয়ার আর আর্থিক সমস্যাও নাকি এর পেছনে দায়ী।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণের খবরে বলা হয়েছে, অভিনেতা হিসেবে খুব একটা সফল নন আরবাজ খান। সেই সাথে ছিল আর্থিক অসঙ্গতি। ভাই সালমান খানের সহায়তায় ‘দাবাং’ ছবিটি প্রযোজনা করে প্রযোজক হিসেবে সফলতা পেলেও সেটা বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি।
আর তাই এ নিয়ে সংসারে অশান্তি ছিল। এর মধ্যে নাকি খান পরিবারের পক্ষ থেকে মালাইকাকে অভিনয় ছেড়ে ঘরকন্নার কাজে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। যেটা মালাইকা মেনে নেননি।
মডেল ও অভিনেত্রী মালাইকা ‘ছাইয়া ছাইয়া’, ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’সহ বলিউডের বেশকিছু জনপ্রিয় আইটেম গানে আইটেম গার্ল হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এক সময় মডেল ও অভিনেত্রী পরিচয় ছাপিয়ে মালাইকার আইটেম গার্ল পরিচয়টাই বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এরই মধ্যে ১৪ বছরের ছেলে আরহানকে নিয়ে আরবাজের বান্দ্রার বাড়ি ছেড়ে খার এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে উঠেছেন মালাইকা।
আরবাজের বাবা সেলিম খান বলিউডের নামকরা চিত্রনাট্যকার। আরবাজের ভাই সালমান খান বলিউডের সুপারস্টার। পরিবারের পক্ষ থেকে নাকি সালমানকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মালাইকাকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনার। যদিও সালমান তাতে ব্যর্থ হয়েছেন। আরবাজের আরেক ভাই সোহেল খানও অভিনেতা। তবে বলিউডে সেভাবে সফল হতে পারেননি তিনি।