ঐশ্বরিয়ার সাত ভুল
প্রাপ্তির খাতা ঐশ্বরিয়ার পরিপূর্ণ। গ্ল্যামার, বচ্চন পরিবারের বউ কিংবা বিশ্বসুন্দরীর খেতাবই কেবল নয়; বলিউডের সফল অভিনেত্রী হিসেবেও তিনি স্বীকৃত। তবু কি ক্যারিয়ারে কিছু ভুল থাকে না? এমটিভির খবরে পাওয়া গেল ঐশ্বরিয়ার ছেড়ে দেওয়া সাতটি ছবির কথা, যেগুলোর জন্য ঐশ্বরিয়ার আফসোস করার কথা।
১. রাজা হিন্দুস্তানি (১৯৯৬)
আরতির চরিত্রে প্রথম পছন্দ ছিলেন ঐশ্বরিয়াই। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় কারিশমা কাপুরের কাছে চলে যায় ছবিটি। ‘রাজা হিন্দুস্তানি’র বাকি ইতিহাস সবার মতো অ্যাশেরও নিশ্চয়ই জানা!
২. কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮)
এই ছবি দিয়েই অভিষেক ঘটেছিল পরিচালক করণ জোহরের। রানি মুখার্জির করা ‘টিনা’ চরিত্রটি অফার করা হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে, যা তিনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন! ঐশ্বরিয়ার কি এখনো আফসোস হয়?
৩. অশোকা (২০০১)
কারিনা কাপুরের করা ‘কৌরকি’ চরিত্রটির জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন ঐশ্বরিয়া। আবারও প্রত্যাখ্যান!
৪. মুন্না ভাই এমবিবিএস (২০০৩)
গত এক দশকে ভারতের অন্যতম সেরা কমেডি ছবিটিতে ঐশ্বরিয়াই ছিলেন প্রথম পছন্দ। মজার কথা, এ ছবিতে সঞ্জয় দত্তের রোলটি শাহরুখ খানকেও অফার করা হয়েছিল। তাহলে কি শাহরুখের সাথে কাজ করতে অ্যাশ বিশেষ আগ্রহী ছিলেন না?
৫. করপোরেট (২০০৬)
মধুর ভান্ডারকরের বিপুল প্রশংসিত ‘করপোরেট’ ছবিটিতে অভিনয় করার জন্য অ্যাশকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ওই চরিত্রে অভিনয় করে গ্ল্যামার গার্ল তকমা ছাড়িয়ে প্রতিভাধর অভিনেত্রী হিসেবে খ্যাতি পান বিপাশা বসু।
৬. ভুল ভুলাইয়া (২০০৭)
ভুল ভুলাইয়ার বিদ্যা বালানের দুর্দান্ত চরিত্র আর পারফরম্যান্স কি কখনো ভুলতে পারবেন কেউ? কে জানে কী বুঝে বা কী কারণে এই চরিত্রটিও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ঐশ্বরিয়া!
৭. বদলাপুর (২০১৫)
ঐশ্বরিয়া নাকি ‘বদলাপুর’ ছবির স্ক্রিপ্ট বেশ পছন্দ করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সঞ্জয় গুপ্তর ‘জ্যজবা’র দিকেই মনোযোগটা রেখেছেন কেবল। অনেকে এমনও বলেন, বরুণ ধাওয়ানের মতো ‘নতুন’ কারো সাথে অভিনয়ে আগ্রহী ছিলেন না বলেই রাজি হননি ঐশ্বরিয়া।