পানির নীচে কি করছেন অভিনেতা নাসির উদ্দীন?
একদম শুন্যর উপর তিনি উল্টো ডিগবাজি খেলেন আচমকা। ডিগবাজি খেয়ে সোজা চলে গেলেন পানির গভীরে। তারপর?
নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে এরইমধ্যে নিজের জাত চিনিয়েছেন অভিনেতা নাসির উদ্দিন। অভিনেতা হিসেবে তিনি যে প্রচন্ড পরিশ্রমী সেটা জানা হয়ে গেছে মোটামুটি সবার। তবে এবার ‘বলী’ (দ্য রেসলার) ছবির শুটিংয়ে নাসির উদ্দিন যেটা করেছেন সেটা একদম অভাবনীয়। এই সিমেমাতে তিনি যে তার সেরাটা দিয়েছেন সেটা আর সম্ভবত আলাদা করে বলে দিতে হচছে না। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বলী’ সিনেমার বিহাইন্ড দ্য সিন ফুটেজের একটি অংশে দেখা যাচ্ছে, উল্টো ডিগবাজি খেয়ে পানির একদম গভীরে চলে যাচ্ছেন নাসির উদ্দীন খান। না, শেষে অবশ্য ঠিকঠাকই পানি থেকে উঠে এসেছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলে হয়েছে এই দৃশ্যটির চিত্রধারণ।
চট্টগ্রাম থেকে উঠে আসার এই অভিনেতার চলচ্চিত্র ও সিরিজের নানা চরিত্রে অভিনয় করলেন এবার তিনি পর্দায় উঠে আসছেন একেবারে কেন্দ্রিয় চরিত্র হয়ে। ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ‘বলী’ (দ্য রেসলার) সিনেমার প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমাটির শুটিং এরইমধ্যে শেষ। এখন চলছে চুড়ান্তভাবে দর্শকের পাতে দেয়ার আয়োজন। তবে তার আগেই সিনেমাটি উচ্চ প্রশংসিত কুড়িয়েছে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা কমিটির সম্মানিত সদস্যদের কাছ থেকে।
প্রধান চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ছবিতে আমি সাগরপাড়ের এক খ্যাপাটে জেলের চরিত্রে অভিনয় করেছি। ছবিটি একই সঙ্গে খুবই আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক একটি সিনেমা হবে বলে আমার মনে হয়েছে। ক্ল্যাসিক সিনেমা হয়ে ওঠার সব সম্ভাবনা এই সিনেমার গল্পে আছে—এটা আমি বিশ্বাস করি।’
পরিচালক জানান, গেল বছরের এপ্রিল-মে মাসে সিনেমাটির টানা শুটিং হয়েছে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায়। তারও আগে লম্বা সময় নিয়ে চলেছে সিনেমার অডিশন। চট্টগ্রাম ও ঢাকার মঞ্চের একদল নবীন প্রতিভাবান শিল্পী কাজ করেছেন এই সিনেমায়। এই বছরের শেষে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে আসতে পারে।
২০২০–২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকারের অনুদান পায় এই সিনেমা। গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্বের প্রথম সারির চলচ্চিত্র ফান্ডের একটি হুবার্ট বলস ফান্ডের প্রাথমিক বাছাইয়ে মনোনীত হয় ‘বলী’ (দ্য রেসলার)। ছবির চিত্রনাট্য, চূড়ান্ত পর্ব পর্যন্ত লড়েছে ভারতের এনএফডিসি ফিল্ম বাজার কো-প্রোডাকশন মার্কেটে। সরকারি অনুদানের এই ছবির প্রযোজক পিপলু আর খান। সহ প্রযোজক হিসেবে আছেন সাইফুল আজিম ও গাউসুল আলম শাওন।