শিল্পী সমিতির সদস্য পদ হারিয়ে জায়েদ খান : কোনও মাথাব্যথা নেই
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। এবারের শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা খোরশেদ আলম খসরু এই খবর জানিয়েছেন।
খসরু জানান, ‘গতকালের বনভোজনের শুরুতে শিল্পী সমিতির দ্বি-সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদক নিপুণের প্রতিবেদনের মাধ্যমে জায়েদ খানের সদস্যপদ খারিজ করার বিষয়টি জানানো হলো।’
ঘোষণাপত্রে জানানো হয়, জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশে ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনি সাংবাদিক সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করায় গত ০২/০৪/২০২৩ তারিখের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
সমিতির এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া তো দূরের কথা, জায়েদ খান হারালেন ভোটাধিকারও।
এ প্রসঙ্গে জায়েদ খানের ভাষ্য, ‘কোনও ব্যক্তি যদি অপরাধ করে তার বিরুদ্ধে কি কেউ কথা বলতে পারবে না? ব্যক্তির দায় তো সংগঠনের নয়। আমি তো সংগঠনের বিরুদ্ধে কখনও কিছু বলিনি। তাহলে কেন সংগঠনবিরোধী বক্তব্যের দায় তুলে আমার সদস্যপদ বাতিল ঘোষণা করলো? আর কাউকে বাতিল করতে হলে তো তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হবে অন্তত তিনবার। আমি একটি চিঠি পেয়েছি। সেটার জবাবও দিয়েছি। আর কোনও চিঠি আসেনি। আসলে এরা (নিপুণ আক্তার) তো সংগঠনের সংবিধানই পড়েনি। জানে না, সংগঠনের বিধি-বিধান। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। বনভোজনে গিয়ে এজিএম ডেকে আমাকে বাতিল করছে! অবৈধদের আসলে বৈধ বোধ থাকে না। আবারও প্রমাণ হলো।’
শিল্পী সমিতির সাবেক এই আলোচিত নেতা আরও বলছেন, এই অবৈধ ব্যক্তির অবৈধ সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই। আমি যা করার সাংগঠনিক নিয়ম মেনেই করেছি এবং করবো।’