দিলশাদ ইয়াসমিন যেভাবে সাবিনা ইয়াসমিন হলেন...
প্রায় চার দশক ধরে বিশ্বব্যাপী বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করে চলা সাবিনা ইয়াসমিনের জন্মদিন আজ। ১৯৫৪ সালের আজকের দিনে (৪ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন বাংলা গানের জীবন্ত এই কিংবদন্তি। তবে তাঁর পারিবারিক নাম দিলশাদ ইয়াসমিন।
এই নাম থেকে কীভাবে তাঁর নাম সাবিনা ইয়াসমিন হয়েছে; সেই গল্প শুনিয়েছিলেন ২০১৫ সালে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে। সেই গল্পে সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছিলেন, “১৯৬২ কি ১৯৬৪ সালে ভারতের বিখ্যাত শিল্পী তালাত মাহমুদ সাহেব ঢাকায় এসেছিলেন। ‘তোমারে লেগেছে এত যে ভালো’ গানটি তিনি গেয়েছিলেন। তাঁর একটি ফাংশনে বড় আপা (ফরিদা ইয়াসমিন) একটি গান গেয়েছিলেন। তিনি গল্প করতে করতে শুনলেন তালাত মাহমুদের মেয়ের নাম সাবিনা তালাত।”
গল্পে সাবিনা ইয়াসমিন আরও যুক্ত করেন, ‘নামটা তাঁর এত পছন্দ হয়ে গেল যে বাড়িতে এসে মাকে বললেন, ও তো এখনও অনেক ছোট, ওর নামটি তালাত মাহমুদ সাহেবের মেয়ের নামে রাখো না মা। মা বললেন, না, না। অনেক অনুরোধ করার পর নামটা রাখলেন। দিলশাদের বদলে সাবিনা নাম হলো। বোনদের সবার নামের শেষে ইয়াসমিন আছে, আমারও আছে।’
সাবিনা ইয়াসমিন গান শিখতে একটানা ১৩ বছর তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ পি সি গোমেজের কাছে। মাত্র সাত বছর বয়সে অংশ নিয়েছেন স্টেজ প্রোগ্রামে। ১৯৬৭ সালে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ এবং ‘মধুর জোছনা দীপালি’ গানটির মাধ্যমে প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সাবিনা ইয়াসমিন। তবে ‘নতুন সুর’ সিনেমায় প্রথম গান করেন তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে।
সাবিনা ইয়াসমিন ‘সব ক’টা জানালা খুলে দাও না’, ‘মাঝি নাও ছাড়িয়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ’ এমন অসংখ্য কালজয়ী গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। সেরা নারী প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৩ বার পেয়ে তিনি রেকর্ড করেছেন। চলচ্চিত্রের জন্য দেড় হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড হয়েছে তাঁর এবং এ পর্যন্ত তাঁর ১২ হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড হয়েছে।