ভূতের গল্পে পর্দায় আসছেন সত্যম, সন্দীপ্তা ও সুহত্র
সত্যম, সন্দীপ্তা ও সুহত্রকে নিয়ে টলিউডে আসছে ‘ভূত ও পূর্ব’। তিনটি আলাদা গল্পের সমন্বয়ে বড় পর্দায় আসছে ‘ভূত ও পূর্ব’।
পরিচালক কাকলি ঘোষ ও অভিনব মুখোপাধ্যায় যৌথভাবে এ ছবি নির্মাণ করছেন।
এর মাধ্যমেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মণিহারা’ আবারও ফিরছে বড় পর্দায়। ফণীভূষণ হয়ে পর্দায় দেখা দিচ্ছেন সত্যম ভট্টাচার্য আর মণিমালিকা হয়ে আসছেন অমৃতা চট্টপাধ্যায়।
১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সত্যজিৎ রায় পর্দায় এনছিলেন ফণীভূষণ ও মণিমালিকাকে। ২০২৪ সালে ফের জানা গেল পর্দায় ফিরবে মণিমালিকা ও ফণিভূষণ। এবারও মণিহারার সঙ্গে আলাদা দুটি ভূতের গল্প থাকছে। তবে সেগুলো রবীন্দ্রনাথের গল্প নয়।
কমেডি ঘরানার ভূতের সিনেমা ‘বল্লভপুরের রূপকথা’র মাধ্যমেই দর্শকপ্রিয়তা পেছেন সত্যম। আরও একবার ভূতের ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন তিনি।
বাংলা সাহিত্যের তিনটি জনপ্রিয় গল্প নিয়েছেন এই দুই পরিচালক। রবীন্দ্রনাথের ‘মণিহারা’র পাশাপাশি থাকছে তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তারানাথ তান্ত্রিক’ সিরিজ়ের একটি গল্প এবং মনোজ সেনের ‘শিকার’।
ছবিতে ভিন্ন সময়ের তিনটি গল্পের মধ্যে একটি যোগসূত্রও থাকবে বলে জানিয়েছেন ছবি সংশ্লিষ্টরা।
নতুন ‘মণিহারা’ গল্পে ফণিভূষণের চরিত্রেই অভিনয় করছেন সত্যম। মণিমালিকার চরিত্রে রয়েছেন অমৃতা চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিকে তারানাথ তান্ত্রিক এবং মাতু পাগলির চরিত্রে রয়েছেন সপ্তর্ষি মৌলিক এবং রূপাঞ্জনা মিত্র।
‘শিকার’ গল্পে রয়েছেন সুহোত্র মুখোপাধ্যায় ও সন্দীপ্তা সেন।
আরও একবার ভূতের ছবিতে অভিনয় নিয়ে সত্যম বলন, কাহিনি আলাদা। তাই তিনি চিন্তিত নন।
তিনি আরও বলেন, ‘কাকলি ও অভিনব থিয়েটারে জগতের মানুষ। খুব অন্যভাবে চিত্রনাট্য ভেবেছেন। আশা করি ছবিটা দর্শকের পছন্দ হবে।’
সম্প্রতি ছবির জন্য অভিনেতাদের লুক সেটও করা হয়েছে। বোলপুরে ছবির আউটডোর শুরু হবে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে। তারপর শহরের একাধিক লোকেশন জুড়ে হবে ছবি শুটিং।