বিচ্ছেদ নিয়ে যিশু সেনগুপ্ত : পাগল হয়ে মারা যেতাম

এক শহরের আকাশ, এক শহরের বাতাস—তবুও আলাদা দু’জনের পথ। কাগজে-কলমে এখনও স্বামী-স্ত্রী, কিন্তু বহুদিন ধরেই আলাদা থাকছেন যিশু সেনগুপ্ত আর নীলাঞ্জনা শর্মা। এই আলাদা থাকার গল্পের শুরু বহুদিন আগে, তবে এতদিন দু’জনের কেউই প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।
যে দম্পতি একসময় একসঙ্গে প্রযোজনা সংস্থা চালাতেন, আজ তাঁরা আলাদা আলাদা ঘরে সাজিয়েছেন স্বপ্ন। নীলাঞ্জনা ব্যস্ত নিজের নতুন প্রোডাকশন হাউজ নিয়ে, আর যিশু শুরু করেছেন নতুন প্রযোজনা সংস্থা সৌরভের সঙ্গে।
অবশেষে কলকাতার গণমাধ্যম টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যিশু ভাঙলেন নীরবতা। তিনি বললেন, ‘নীলাঞ্জনার সঙ্গে প্রযোজনা সংস্থা থাকলে আমি অবশ্যই সেটাই চালিয়ে যেতাম। তবে ও এখন খুব ভালো কাজ করছে। বেশ কিছু নতুন নতুন মেগা শুরু করেছে। ওঁকে অনেক শুভেচ্ছা।’
কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের প্রশ্নে নায়কের কণ্ঠে স্পষ্ট এড়ানোর সুর, ‘এটা নিয়ে আমি কোনও কথা বলতে চাই না। আগেও বলিনি। আজও বলতে চাই না। অনেকের অনেক ধারণা রয়েছে। তবে আমি একটা কথাই বলব, বাইরে থেকে শুধু বইয়ের কভার দেখে, বইটার বিচার করতে যাবেন না। এটা নিয়ে আমি কোনও দিনই মুখ খুলব না, কারণ আমার ব্যক্তিগত কিছু কারণ আছে। তবে এমন কিছু মানুষ অবশ্যই আছেন যাঁদের সঙ্গে একটু আলোচনা করেছি, যতটা করা যায়। না হলে তো পাগল হয়ে মারা যেতাম। তবে আমি তাদেরও বলে দিয়েছি, যদি তারা এটা নিয়ে বাইরে কথা বলেন, তাহলে তাদের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক থাকবে না।’
বন্ধুত্বের উদাহরণ টেনে যিশু আরও যোগ করেন, ‘দুটো মানুষ এক জায়গায় থাকতে পারছে না। ছোটোবেলায় আমরা তিন বন্ধু বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলাম। তার মধ্যে একজনের সঙ্গে আমার সমস্যা হল। তারপর তার আর আমার সেভাবে বন্ধুত্ব থাকল না। তবে আমি আর আমার আর এক বন্ধু বেস্ট ফ্রেন্ড হয়েই থেকে গেলাম। তেমন আমরাও বন্ধু ছিলাম। কিন্তু এটা হতেই পারে একটা জায়গায় আমাদের মতের অমিল, মিল, শ্রদ্ধা, একসঙ্গে থাকা সবটাই একটা পয়েন্টে মনে হতেই পারে ঠিক ভাবে হচ্ছে না। তার মানে এই নয় যে, আমি মানুষটার বিরুদ্ধে চলে যাব। আমি বিশ্বাস করি যদি কোনও সমস্যায় পড়ে আমি ওঁর পাশে থাকব।’
এই ভাঙনের ছায়া এসে পড়েছে মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কেও। সারা আনফলো করেছেন বাবাকে। তবু মেয়ের প্রসঙ্গে গর্ব লুকোলেন না যিশু, ‘সারাকে নিয়ে আমি খুব গর্বিত। ও আমার থেকেও যথেষ্ট স্মার্ট। আমি ওঁর ছবি পেলেই যারা আমার কাছের তাদের দেখাই। ও খুব ভালো কাজ করছে। পুরোটাই ও নিজে করেছে। আমি কখনওই বলব না যে আমি বা নীলাঞ্জনা ওঁকে সাহায্য করেছি। ও সবটা নিজে করেছে। ও যা করেছে আমি কখনও তা পারতাম না।’