কলকাতার সিনেমার টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগকে ‘ফালতু’ বলছেন তিশা
সিনেমাতে নাম লিখিয়ে একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ হচ্ছেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা। গতমাসে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অনলাইনভিত্তিক দুইটি ফ্যাশন হাউজ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলে। তার রেশ কাটতে না কাটতে এবার অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসার মরশুম’-এর প্রযোজক প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন।
কলকাতার নির্মাতা এম.এন রাজ পরিচালিত ‘ভালোবাসার মরশুম’–এ অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে অগ্রিম টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন শরীফ খান নামে এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে সিনেমাটির প্রযোজক দাবি করেছেন।
শরীফ খানের অভিযোগ, তিশার ‘অসহযোগিতার’ কারণেই তাকে সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আর বাদ পড়ার পর অগ্রিম নেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়েও টালবাহানা করছেন তিনি।
এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ‘ফালতু’ বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন তানজিন তিশা। তাঁর কথায়, চুক্তির সময় এক-তৃতীয়াংশ পেমেন্ট পেয়েছিলেন তিনি। শুটিংয়ের ভিসা পাওয়ার অপেক্ষায় দেড়মাস শিডিউল ফাঁকা রেখে কোনো কাজ নেননি। চুক্তিতেই উল্লেখ ছিল—শুটিং বাতিল হলে এই অগ্রিম ফেরতযোগ্য নয়।
অভিনেত্রীর অভিযোগ, শরীফ নামে একজন মধ্যরাতে ফোনে কথা বলতে চান—‘এটা পেশাদার আচরণ হতে পারে না।’ তিশার দাবি, ওই ব্যক্তি সিনেমার প্রযোজকই নন।
তিশার আইনজীবী জসিম উদ্দিনও বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, তানজিন তিশা চুক্তি অনুযায়ী তাঁর সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। সময়মতো শিডিউল দিয়েছেন এবং কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু পরিচালক ভিসা ও শুটিং প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হন। চুক্তির ধারা অনুযায়ী এটা ডিরেক্টরের ডিফল্ট, আর্টিস্টের নয়। বরং ভিসা বিলম্ব ও শিডিউল বাস্তবায়ন না হওয়ায় তিশাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সম্প্রতি তিশাকে ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা অন্য বির্তকগুলোর ধারাবাহিকতায় নতুন এই অভিযোগ আরও উত্তাপ যোগ করেছে আলোচনায়।

বিনোদন ডেস্ক