৭২ বিলিয়ন ডলারে ওয়ার্নার ব্রাদার্স কিনছে নেটফ্লিক্স
হলিউডে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। নেটফ্লিক্স ৭২ বিলিয়ন ডলারে কিনে নিতে চলেছে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির সিনেমা ও স্ট্রিমিং ব্যবসা। কমকাস্ট ও প্যারামাউন্টকে হারিয়ে এই বিশাল চুক্তি নিশ্চিত করেছে তারা।
হ্যারি পটার, গেম অব থ্রোনসসহ বহু জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি আর এইচবিও ম্যাক্সের মালিক ওয়ার্নার ব্রাদার্স। তাই এই চুক্তি কার্যকর হলে বিনোদন জগতে এক নতুন শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
তবে চুক্তি চূড়ান্ত হতে হলে প্রতিযোগিতা কমিশনের সম্মতি দরকার।রাইটার্স গিল্ড অফ আমেরিকাসহ কয়েকটি সংগঠন বলছে—এই একীভূতকরণে চাকরি কমতে পারে, কর্মপরিবেশ খারাপ হতে পারে এবং দর্শকদের খরচ বেড়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে নতুন কনটেন্টও কমে আসতে পারে।
নেটফ্লিক্সের সহ–প্রধান নির্বাহী টেড সারানদোস বলেছেন, তারা অনুমোদন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তাঁর মতে, ওয়ার্নার ব্রাদার্সের বিশাল লাইব্রেরি নেটফ্লিক্সে যুক্ত হলে দর্শকদের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি একই ধরনের কাজ কমিয়ে বছরে ২–৩ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।
চুক্তি হলে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সিনেমা আগের মতোই বড় পর্দায় মুক্তি পাবে এবং তাদের টিভি স্টুডিও অন্য প্রতিষ্ঠানের জন্যও কাজ করতে পারবে। তবে নেটফ্লিক্স ভবিষ্যতে কনটেন্ট শুধু নিজের প্ল্যাটফর্মের জন্যই তৈরি করতে চায়।
এই চুক্তির মোট মূল্য ৮২.৭ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ৭২ বিলিয়ন ডলার ইক্যুইটি। দুই প্রতিষ্ঠানের বোর্ডই ইতোমধ্যে এটি অনুমোদন করেছে।
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের প্রধান নির্বাহী ডেভিড জাসলাভ বলেছেন, ‘বিশ্বের দুই শীর্ষ প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করবে—এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য।’
এদিকে বিভিন্ন সংগঠন সতর্ক করে বলছে—এই একীভূতকরণে চলচ্চিত্রশিল্প হুমকিতে পড়তে পারে। ছোট-বড় সব ধরনের সিনেমা হল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, নির্মাণ কমে যেতে পারে এবং দর্শকদের খরচ বাড়তে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে হলিউডের মানচিত্রই পাল্টে যাবে।
শেষ পর্যন্ত সব নির্ভর করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিদ্ধান্তের ওপর।
