অটো ইউমিন রোগ কী, কেন হয়
অনেকে অটো ইউমিন রোগে ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে অটো ইউমিন রোগ ও এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে অটো ইমিউন রোগ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে জানিয়েছেন আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
অটো ইউমিন রোগ কী, কেন হয়; সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক বলেন, এটি নামেই বোঝা যাচ্ছে। ইমিউন সিস্টেম অটোমেটিক্যালি রিঅ্যাক্ট করে শরীরের বিরুদ্ধে। হতে পারে একটি টিস্যু, হতে পারে কোনও অরগান, হতে পারে কোনও জয়েন্ট। আমাদের শরীরে যদি কোনও মেজর ডিজফাংশন থাকে, টক্সিসিটি থাকে বা আন্ডার-ওয়ার্কিং অরগান থাকে বা যে কোনও ধরনের সমস্যা থাকে, আমাদের ইমিউন সিস্টেম ওটাকে ফরেন বা প্রবলেম্যাটিক মনে করে। ওখানে নিজে নিজে অ্যাটাক করে। এবং যেখানে অ্যাটাক করে, ওই অ্যাটাকের টাইপ অনুযায়ী রোগের নামগুলো হয়। দুইশর বেশি অটো ইমিউন রোগ আছে।
এর কারণ কী, কেন দিন দিন এটি বৃদ্ধি পাচ্ছে; সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক বলেন, আমরা যদি এখন থেকে ৩০ বছর পেছনে যাই বা আমি যখন বড় হয়েছি, তখন দেখেছি যে আমাদের মাছ-মাংস-দুধ, যেগুলো প্রোটিন সোর্স মনে করি এবং আইডিয়াল সোর্স মনে করি, এগুলো কিন্তু পিউর ছিল। নদী-সাগর-পুকুরে মাছ ছিল। ন্যাচারাল খাবার খেয়ে বড় হয়েছে। গরুকে যে এতগুলো স্টেরয়েড দিয়ে ৭০০ পাউন্ড করে ফেলছে, সারভাইভ করানোর জন্য এতগুলো অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে... এগুলো কিন্তু ছিল না আগে। তাহলে স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক, আনন্যাচারাল ডায়েট... তারপর মাছগুলোকে স্টেরয়েড দিয়ে বড় করা হচ্ছে... মাছ-মাংস-ডিম-দুধ, পুরো জিনিসটা হয়ে গেছে স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক বেজড। এগুলো আমাদের শরীরে এসে স্বাভাবিকতা নষ্ট করছে। শাকসবজিগুলোকেও প্রচুর ফার্টিলাইজার দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। প্রিজারভেটিভ অ্যাড করা হচ্ছে, সুপার ফসফেট দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে... এর ফলে মিনারেল আসছে না। একে তো পুষ্টিতে অপূর্ণ, তার ওপরে কেমিক্যাল অ্যাড করা হচ্ছে... এগুলো যখন আমাদের শরীরে আসে, শরীরের স্বাভাবিক ফাংশন ব্যাহত হয়।
ডা. মুজিবুল হক যুক্ত করেন, একটা শরীর ১০ থেকে ১০০ ট্রিলিয়ন সেল দিয়ে তৈরি। প্রতিদিন ২০ বিলিয়ন সেল মরে যায়। আবার একই পরিমাণ তৈরি হয়। কী দিয়ে তৈরি হয়, খাবার দিয়ে। প্রোটিন, ফ্যাট ইত্যাদি দিয়ে। খাবারের উপাদানগুলো যদি ভেজাল হয়, প্রতিদিন যে ২০ বিলিয়ন সেল তৈরি হয়, এ সেলগুলো হবে অপুষ্টি সমৃদ্ধ, ডিফেকটিভ, অপূর্ণ এবং এই ডিফেকটিভ সেল যখন তৈরি হয়, আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম এ সেলগুলোকে মনে করে ফরেন বা ডিফেকটিভ বা প্রবলেম্যাটিক। ড্যামেজ সেলগুলো নারিশ করার জন্য পুষ্টি দিতে হবে।
অটো ইমিউন রোগ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।